স্বাধীনতার চেতনা রক্ষা করাই আ.লীগের কাজ : এটিএম পেয়ারুল

15

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল গত রবিবার জেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল।
এতে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ৭৫ এর পরে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নাম আর আজকে কেউ মুছতে পারবে না যেখানে মিথ্যা ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল আন্তর্জাতিকভাবেও, কিন্তু সেই ঘোষকের আর কোনো ঠিকানা থাকছে না। ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে। ঘোষক দাঁড় করানো হয়েছিল। স্বাধীনতার নায়ক দাঁড় করানো হলো। ইতিহাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হলো, তাঁর (বঙ্গবন্ধু) নামটাও নেওয়া যাবে না। মুক্তিযোদ্ধারা ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি’ বলার সাহসও পায়নি। তারা সেই সাহস হারিয়ে ফেলেছে। কারণ তখন এটা বললেই নির্যাতন করা হতো। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলদারদের চাটুকারিতা করেছে, তারাই সবকিছু বলতে পারত। কারণ, আজকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নিজেরাই প্রচার করছেন যে, ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হতো তাহলে আমরা বাঙালিরা জাতি হিসেবে কখনো বিশ্বে মর্যাদা পেতাম না।তিনি আরও বলেন, ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত একটা কালো অধ্যায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ আরেকটি কালো অধ্যায়। আমরা সেখান থেকে উত্তরণ করেছি। জাতির পিতার দেখানো পথে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, বোরহান উদ্দিন মো. এমরান, মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল আলীম, রওশন আরা বেগমসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা—কর্মচারীবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির