স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও আজকের বাংলাদেশ

15

 

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এ’দিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বৈধ সরকার কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহাকুমার বৈদ্যনাথ তলার এক আম্্রকুঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের চার সদস্য বিশিষ্ট প্রথম সরকার দেশ বিদেশের অনেক সাংবাদিক ও স্থানীয় জনগণের সামনে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। অধ্যাপক ইউসুফ আলী এক সময় নবাবগঞ্জ কলেজের ও পরবর্তিকালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যাপক ছিলেন। পরবর্তিকালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ও ১৯৭০ এর নির্বাচনে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ১০ই এপ্রিল তিস্তা নদীর উজানে বাগডোগরা নামক স্থানে এক অরণ্য ঘেরা স্থানে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় সংসদ ও প্রাদেশিক সংসদে নির্বাচিত সদস্যরা (যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন) তাদের নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের বৈঠক বসে। সেই সংসদে সভাপতিত্ব করার জন্য স্পিকার মনোণিত করা হয় অধ্যাপক ইউসূফ আলীকে। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ৩ এপ্রিল একটি ছোট প্রতিনিধি দল ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির সাথে দেখা করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহায়তা কামনা করেন। জবাবে ইন্দিরা গান্ধী প্রতিনিধি দলকে পরামর্শ দেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা একটি সরকার গঠন করলে এই ধরনের সহায়তা করতে সহজ হবে। এই তথ্যগুলো আমাকে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি রচনা করে তিনি তা নিয়ে গিয়েছিলেন কোলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর কাছে। তিনি পড়ে বলেছিলেন এই ঘোষণাপত্রে সংযোজন করার কিছু বাকি নেই। ঠিক একই সময় আরো দু’টি গোষ্ঠী পৃথক পৃথকভাবে প্রবাসি সরকার গঠনের চেষ্টা করে। প্রথম গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন কিছু তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আর অন্য দিকে ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী হতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়া কতিপয় সেনা অফিসার। কিন্তু উভয় পক্ষের সাথে কোন বিচক্ষণ ও দুরদর্শি নেতৃত্ব ছিল না বলে তা সম্ভব হয় নি।
১৭ এপ্রিলের আগের দিন আওয়ামী লীগ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এ মান্নান ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম কোলকাতা প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন পরদিন নবগঠিত প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন এবং তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, তারা যেনো প্রস্তুত থাকেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। প্রথমে ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিভাবে যেনো সংবাদটি জানাজানি হয়ে যায়, যার ফলে সেখানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী নিয়মিত হামলা করা শুরু করে। তাই স্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হলো। পুরো অনুষ্ঠান আয়োজন করার দায়িত্ব কাঁধে নিলেন পাবনার তৎকালিন জেলা প্রশাসক নূরুল কাদের (খান) আর মেহেরপুর মহাকুমার প্রশাসক ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা। নুরুল কাদের খান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এদেশের শতভাগ তৈরী পোষাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘দেশ গার্মেন্টস’। তাদের সহায়তা করলেন স্থানীয় সংগ্রাম পরিষদ ও জনগণ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বিএসএফ।
১৭ এপ্রিল খুব ভোরে কোলকাতা হতে দেশি বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয় বিএসএফ। মেহেরপুর সীমান্তবর্তি মহাকুমা। বেলা এগারটা নাগাদ ছোট একটি গাড়ীবহর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মেহেরপুরে প্রবেশ করে সীমান্ত সংলগ্ন আ¤্রকুঞ্জ বৈদ্যনাথ তলায় অবস্থান নেয়। স্থানীয় একটি গির্জা হতে কিছু টুল টেবিল এনে বানানো হয় একটি ছোট মঞ্চ। সামনে বিদেশী সাংবাদিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান অনুষ্ঠান সম্পর্কে সকলকে ব্রিফ করেন। খুবই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রথমে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে একটি চার সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়। এও ঘোষণা করা হয় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম আর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তাজউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও উপ-রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলি। কর্ণেল এম এ জি ওসমানিকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ উপস্থিত জনগন ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন এবং তাদের ভাষনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা ও সমর্থন দেয়ার আহŸান জানান। সবশেষে মেহেরপুরের পুলিশ প্রধান মাহবুব উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়, যাতে অংশনেন স্থানীয় পুলিশ ও আনসার বাহিনী। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম বৈধ সরকার। এই সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই, কারণ যারা সরকারের সদস্য ছিলেন তারা সকলেই ছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তখন হতে এই স্থানটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। কোন কোন অর্বাচিন বলে থাকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া। তারা ভুলে যান জিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়ার কোন বৈধ সুযোগ ছিল না, কারণ তিনি কোন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন না আর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে কোন শপথও নেন নি। তারা আরো ভুলে যান জিয়াসহ যারা প্রথম সরকারের অধীনে কাজ করেছেন এবং যারা পূর্বে সরকারি কর্মচারি ছিলেন অথবা পরবর্তীকালে সরকারি কর্মচারি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা সকলেই সরকার হতে একটি প্রতীকি বেতন পেতেন। ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান ও ভারত সৃষ্টি হওয়ার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহার লাল নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ সরকারী কোষাগার হতে এক টাকা প্রতীকি বেতন নিতেন।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে কি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হয়। উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে… ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের মর্যাদা ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান’। সেই প্রস্তাবনায় স্বাধীন বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তার একটা স্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরা হয় এবং এও ঘোষণা করা হয় এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে কার্যকর হবে এবং একটি সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এই ঘোষণাপত্রের আলোকেই দেশ পরিচালনা করা হবে। ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করার কথা জোর দিয়ে বলা হয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ তাদের বক্তৃতায় এইসব বিষয় উল্লেখ করা ছাড়াও আরো বলেন, বাংলাদেশ হবে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং এই দেশ জাতীসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ মেনে চলবে। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি ১৯৭২ সালে সংবিধানে ৭ম তফসিল হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। অথচ এমন একটা দলিলকে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া সংবিধান হতে বাতিল করে দেন। ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালে যে চার জাতীয় নেতাকে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিল তাদের ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তা আবার সংবিধানে সংযোজিত হয় যা আবার বেগম জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করে দেন। অথচ এই প্রস্তাবনা ছিল বৈধ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মসনদ।
একান্ন বছর পার করলো স্বাধীন বাংলাদেশ। এই একান্ন বছরে বাংলাদেশ অর্জন করেছে অনেক কিছু কিন্তু যা হারিয়েছে তাও কম নয়। এই একান্ন বছরে বঙ্গবন্ধুর ও জাতীয় চার নেতার স্বপ্নের অসাম্প্রাদয়িক বাংলাদেশ অনেকটা হারিয়ে গেছে। সামাজিক ন্যায় বিচার এখন অনেকটা নির্বাসিত। আর্থ সামজিক বৈষম্য চরম বেদানায়ক। সমাজে অসৎ মানুষদের দুর্দান্ত প্রতাপ। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে, অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানি আমল হতেও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি বর্তমানে অনেক বেশী শক্তিশালি। তারা হুমকি দিলে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য পর্যন্ত সরিয়ে নিতে হয়। তারা হুমকি দিতে পারে কেউ বাঙলা নববর্ষ পালন করলে ইসলাম হতে খারিজ হয়ে যাবে। একজন অর্ধশিক্ষিত মোল্লাকে দেখা গেলো ফতোয়া দিচ্ছে যে পয়লা বৈশাখের জন্য পাঞ্জাবি বানাবে আর শাড়ি কিনবে তারা জাহান্নামে যাবে (নাউজুবিল্লাহ। কে জাহান্নামে যাবে বা যাবে না তার বিচার করবেন স্বয়ং আল্লাহ কোন অর্ধশিক্ষিত মোল্লা নয়)। বিশ্বের অনেক দেশে ইসলাম প্রধান দেশে মেয়েরা টিপ পড়ে আর বাংলাদেশে ফতোয়াবাজরা এই টিপ পড়া নিয়ে মাঠ গরম করে অথচ পরিদেয় বস্ত্র বা টিপ জাতীয় বিষয়গুলো সংষ্কৃতির অংশ। বাঙালি সংষ্কৃতিকে ধর্মের দোহায় দিয়ে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধ মৌলবাদি গোষ্ঠী কোনঠাসা করে ফেলেছে। একজন হৃদয় চন্দ্র মÐলকে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান নিয়ে কথা বললে কারাগারে যেতে হয়। চুয়াডাঙ্গায় আরেকজন আমানত উল্লাহ খান বিজ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করে বলে সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে। এই দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এইসব বিষয়ে মাঠ গরম করার সুযোগ পায় অনেকটা সরকারের তোষণ নীতির কারণে। সরকার সম্ভবত বুঝতে অক্ষম এরা সকলে বাংলাদেশকে আর একটি আফগানিস্তান বানাতে চায়। কায়েম করতে চায় তালেবানি শাসন। আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশী তালেবানদের হয়তো পরবর্তী এজেন্ডা হবে এমন একটা কিছু। এদের লাগাম টেনে ধরা এখনই সময়।
ফিরে যাই সেই অগ্নিঝরা একাত্তরে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে কিংবা ১৯৭২ এর সংবিধানের মূল চেতনায়। এর অনেকগুলো বর্তমানে নির্বাসিত। বর্তমান সরকারের আমলে এই সবকিছু যদি ফিরিয়ে আনা না যায় তাহলে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের হয়তো খোলসটা থাকবে বাকি সব হারিয়ে যাবে। একটি অন্ধকার যুগে প্রবেশ করবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ। সময় থাকতে সাবধান না হলে আগামী দিনে একাত্তরের বাংলাদেশকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেরীতে হলেও সকল পাঠকদের বাঙলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক