স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে সখ্য গড়তে চায় আমেরিকা

15

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগারের মৃত্যুকূপ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাঙালি জাতির আরও একটি বড় অর্জন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধু এদিন ঢাকায় ১০ লক্ষ মানুষের জনসমুদ্রে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর আরাধ্যের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বজয় করে চলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ৭১ এ আমেরিকা পাকিস্তানের মুরুব্বী ছিল। সেই আমেরিকা পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কুমতলবে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দোহাই দিচ্ছে।তাদের রাষ্ট্রদূত বিএনপির কর্মসূচিতে অরাজকতা সৃষ্টি হলে পুলিশের গুলিতে একজন কর্মী নিহত হওয়ার পর কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে নিহতের বাসায় যান। অথচ নিকট অতীতে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিরা শত শত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা করলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একবারও শহীদদের বাসায় সমবেদনা জানাতে যাননি। আসলে আমেরিকা ৭১ এর প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে সখ্যতা গড়তে চায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বিগত ১৪ বছরের নজীরবিহীন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। এজন্য দেশ-বিদেশে, ঘরে-বাইরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতে আওয়ামী লীগ শত ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে অপরাজেয় ছিল। আমাদের কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। এটা অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মীর ফেসবুক একাউন্ট আছে, তাদের অনেকেই বিএনপি-জামায়াতসহ গণশত্রুদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন না। অথচ নিজেদের দলের নেতা এমনকি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এটা জঘন্য ও আত্মঘাতি ষড়যন্ত্র।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে- এটা অন্যায় ও অপরাধ নয়। তবে এই প্রতিযোগিতা হতে হবে গঠনমূলক ও আত্মসমালোচনামূলক। যদি প্রতিহিংসা পরায়ন ও ব্যক্তিগত চরিত্রহরণ মূলক হয়, তাহলে তা হবে জঘন্য অপরাধ এবং এটা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ আবদুচ সালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনছারুল হক, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম বাবুল, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইকবাল হাসান। বিজ্ঞপ্তি