স্বাধীনতাবিরোধীরা আ.লীগের সদস্য হতে পারবে না

38

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী, সা¤প্রদায়িক শক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ)’ নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধাপরাধী পরিবার হলে সেখানে আমরা সদস্য সংগ্রহ করি না। তারা সদস্য পদ নিতে পারেন না। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের যে নীতিমালা, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে। আমি নতুন করে কোনো বক্তব্য রাখতে পারি না। এটা আমাদের পুরনো স্ট্যান্ড এবং এই স্ট্যান্ডে আমরা অটল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সা¤প্রদায়িক শক্তি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে থাকা পরিবারের কেউ যদি আমাদের দলে আসতে চায়, আমাদের তো প্রশ্ন থাকবেই। এখানে আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্ন, এখানে আমরা আপস করতে পারি না।
তিনি বলেন, নতুন যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে, এর মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী কেউ আসতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী- এই শক্তিগুলোর সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগ আপস করবে না।
বিএনপি-জামায়াতের ঘরের কেউ যদি আওয়ামী লীগে আসতে চায়, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী- জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিএনপির ব্যাপারটা নতুন সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান নীতিগতভাবে চিন্তা-ভাবনা করে আমরা ঠিক করি। আমাদের দলের যে আদর্শ, যে চিন্তা-ভাবনা, অন্য কোনো দল থেকে বিশেষ করে সা¤প্রদায়িতক যে বিষয়টা, এটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। কাজেই সা¤প্রদায়িকতার মধ্যে যারা আছে, সা¤প্রদায়িকতার দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যাদের দেখি, তারা জামায়াত হোক বিএনপি হোক, আমরা একইভাবে দেখি।
পদ্মাসেতুর সবশেষ অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, টার্গেট ঠিক রাখা যায় না, পদ্মানদী খুব বেশি আনপ্রেডিকটেবল। ইদানীং আমাজনের চেয়েও এটা আরো আনপ্রেডিকটেবল। এমনকি সারা পৃথিবীতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পদ্মা নদীর সয়েল কন্ডিশনও প্রেডিকটেবল না। সে কারণে আমরা শুরুতে বারবার বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছিলাম, ব্যাড ওয়েদার হলে টার্গেট অ্যাসিভ করতে পারছিলাম না।
তবে এ সংকট এখন আর নেই। এখন আমাদের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া খুব বেশি বৈরী না হলে পিলারের উপরে স্প্যান বসানো কাজটি কঠিন নয়। পদ্মাসেতু নিয়ে এখন আর কোনো অনিশ্চয়তার বিষয় নেই। হয়তো মাঝে মধ্যে ওয়েদারের কারণে সমস্যা হয়ে যায়, সময় ঠিক রাখা যায় না। কিন্তু কাজটি গতিবেগে চলছে ও আগের চেয়ে গতি পেয়েছে অনেক বেশি। কারণ স্প্যান ঘন ঘন বসছে এটা একটা আশার বিষয়।
গত ২৫ মে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসে পদ্মাসেতুর ১৩তম স্প্যান। এ স্প্যানটি বসানো অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি বসিয়ে ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতু।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।