স্বাগতিক চট্টগ্রামকে হারিয়ে সাকিবদের দ্বিতীয় জয়

8

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

বিপিএলের শুরুটা হেরেই করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে।
এরপর পা রাখে ঘরের মাটিতে। যেখানে চারটি ম্যাচ খেলবে তারা। কিন্তু সেখানেও হেরেই শুরু করলো শুভাগত হোমের দল। ঘরের মাটিতে সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছে ২৬ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল চট্টগ্রামের। পাওয়ার প্লেতে ওভার প্রতি প্রায় ১০ করে রান তুলতে থাকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খান ঝলক দেখান এবারও। কিন্তু তাকে বিপদ হয়ে উঠতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। দলীয় ৪৮ রানে পয়েন্টে ফিল্ডিং করা সানজামুল ইসলামের দুর্দান্ত একটি ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন উসমান। ১৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপরই ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে শুরু করে চট্টগ্রাম। দলীয় ৮১ রানে আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দউদকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ও’দউদ। চাপের মুখে অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে থেকেও কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। উন্মুক্ত চাঁদও একই পথে হেঁটেছেন। তার ২১ বলে ১৬ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে জয়ের কক্ষপথ থেকে আরও ছিটকে দেয়। আফিফও সমান বল খেলে ২৮ রানে ফেরেন খালেদ আহমেদের বলে। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের ঝোড়ো ইনিংসের পরও ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি চট্টগ্রাম। ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কা অপরাজিত ৪৭ রান করেন জিয়া। বরিশালের হয়ে সাকিব, খালেদ, রাব্বি, জানাত সবাই একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২০২ রান করে ফরচুন বরিশাল। ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইফতিখার আহমেদ। বরিশালের হয়ে এদিন এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আবু জায়েদ রাহীর প্রথম ওভারেই কাভার দিয়ে পরপর তিনটি চার মারেন তিনি। আগের ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
এবার দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি মিরাজ। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে। বরিশালের রান তখন ৩ ওভারে ৩৩ রান। তিন নম্বরে নেমে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে টানা দুটি চার মারেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় ৮ রান করা বরিশাল অধিনায়ককে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বিজয়। ২১ বলে ৫ চারে ৩০ রান করে দলীয় ৭১ রানে ফেরেন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে মিলে তা সচল রাখার চেষ্টা করেন মাহমুদউল­াহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। মাহমুদউল­াহর বিদায়েই ভাঙে এই জুটি। জিয়াউর রহমানের বলে উন্মুক্ত চাঁদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কায় বিদায় নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের ধার বাড়িয়ে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি জাদরানও। ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে রাহীর শিকার হন তিনি। তাতে বরিশালের বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা ফিকে হতে শুরু করে।
১৯ তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রাহী। কিন্তু এরপরই ম্যাচের পাল্লা আবারও বরিশালের দিকে নিয়ে আসেন পাক তারকা ইফতিখার। রাহীর সেই ওভারের শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান এই পাকিস্তানি ব্যাটার। তাছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা শেষ ওভারে দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ রান নিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দুইশ ছাড় করান তিনি। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট নেন রাহী।