স্থানীয় বাজারেই বিক্রি হচ্ছে কালীপুরের রসালো লিচু

49

বাঁশখালীর কালীপুরের সুস্বাদু লিচুর দেশজুড়ে খ্যাতি আছে। বিগত বছরগুলোতে দেশ পেরিয়ে বিদেশেও যেতো কালীপুরের লিচু। এবার করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায় পাইকারী ব্যবসায়ী কম যাওয়ায় কালীপুরের লিচু বাঁশখালীর বাজারেই বেশি বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের কিছু লিচু বাজারে এসেছে। যে কারণে উপজেলাজুড়ে এখন লিচু বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিটি বাজারেই এখন লিচু বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফল ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।
গতকাল কালীপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালীপুরের ছফুরের দোকান, রেজিস্ট্রি অফিস, রামদাসহাট, গুনাগরী বাজারে রাস্তার পাড়ে বিক্রি হচ্ছে লিচু। ছফুরের দোকান ও রেজিস্ট্রি অফিস এলাকায় সরাসরি লিচু বিক্রি করছে বাগান মালিকরা। সেখান থেকেই কিনে নিয়ে খুচরাভাবে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লিচু বিক্রি করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। মোড়ে মোড়ে লিচুর পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বাছাই করে শতাধিক লিচুর মুষ্টিবদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি শত লিচু বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
কালীপুরের লিচু বাগান মালিক জালাল উদ্দিন ঝিনুক পূর্বদেশকে বলেন, ‘আগেভাগে কিছু আগাম জাতের লিচু বাজারে এসেছে। যেগুলো স্বাদে কিছুটা টক। আগামী সপ্তাহেই সুস্বাদু লিচু বাজারে আসবে। এবার পাইকার কম থাকায় ক্রেতাদের কাছ থেকে যে যেভাবে পাচ্ছে দাম নিচ্ছে। তবে কালীপুরে বিক্রিত লিচুর দাম সকালের দিকে বেশি থাকলেও দুপুরের পর দাম পড়ে যায়।’
বাঁশখালী কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো পুঁইছড়ি, চাম্বল, জলদী, কালীপুর, বৈলছড়ি, সাধনপুরে সাড়ে ৬শ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কালীপুরেই ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৪৭টি করে গাছ আছে। ব্যবসায়ীকভাবে উৎপাদনে চায়না-থ্রি ও চায়না-টু জাতের লিচু বেশি বিক্রি হলেও বাঁশখালীতে স্থানীয় জাতের লিচু চাষ হয় বেশি। যে কারণে কালীপুরের লিচুর চাহিদাও আছে দেশজুড়ে। চায়না থ্রি জাতের লিচুর শাঁস বড়, বিচি ছোট। ফলনও আসে দেরিতে। এখানকার স্থানীয় জাতের লিচু শাঁস ও বিচি ছোট হলেও আগেভাগেই ফলন আসে।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সালেক পূর্বদেশকে বলেন, ‘কালীপুরের লিচু বাজারে এসেছে। বিভিন্ন বাজারে এখন সেখানকার লিচু পাওয়া যাচ্ছে। রমজানের পর পর পুরোদমে বাজারে লিচু আসবে। এবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৬শ হেক্টর জমিতে লিচু গাছে ফলন এসেছে।’