স্থল নিম্নচাপ দুর্বল হলেও সাগর এখনও উত্তাল

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিবেশি দেশ ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও এর পার্শ¦বর্তী এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২ টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি স্থলভাগের উপর দিয়ে আরও অগ্রসর এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও দেশের উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম. মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের সাথে কক্সবাজার উপকূলকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘন্টার জন্য প্রচারিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী আটচল্লিশ ঘন্টার আবহাওয়ার অবস্থায় এ সময়ের শেষদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে ক’দিন ধরে দেশের সববিভাগেই কমবেশি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘন্টায় বরিশালের খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সমুদ্র উপকূলীয় কক্সবাজারের টেকনাফে সর্বোচ্চ ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া নিকটবর্তী এলাকা কুতুবদিয়ায় ৫০ ও কক্সবাজারে ৬৯ এবং দ্বীপাঞ্চল হাতিয়ায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৩ মিলিমিটার।