স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী কারাগারে

16

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়ায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পম্পী মালাকার (২৮) নামে এক গৃহবধূ। উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সাহাব্দীনগর গ্রামের কেরানি বাড়িতে গতকাল বৃহষ্পতিবার ভোর ৪ টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্বামী লিটন মালাকারকে (৪৬) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। লিটন মালাকার মৃত রাজেন্দ্র মালাকারের ছেলে। ভোরেই লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
জানা যায়, নিহত পম্পীর পৈতৃক বাড়ি রাঙামাটি পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াদাম এলাকায়। তার বাবা মন্টু চৌধুরী বলেন, ‘জামাতা লিটন আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। আমার মেয়ে দুঃখে-ক্ষোভে অপমান সহ্য করতে না পেরে স্বামীর প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছে। আমি বাদী হয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেছি।’
তবে লিটনের মা পটো রানী মালাকার বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর সাথে ছোটখাট ঝগড়া তো মাঝে মাঝে হয়। কিন্তু পুত্রবধূ এমন কাÐ করবে তা ভাবতেও পারিনি। বউয়ের কিছু দোষ আছে। বাধা দিলে ঝগড়া হয়। কাল (বুধবার) রাতে ঘুমানোর আগে স্বামী-স্ত্রীর সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। পম্পীর মা বকুল রানীর সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল তখন। ঝগড়ার বিষয়টি বকুল রানীকে জানালে তিনি মেয়ের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু সকালে কথা বলবে বলে বেডরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে পম্পী। ছেলে লিটন বারান্দায় সোফায় ঘুমায়। আজ (বৃহষ্পতিবার) ভোর ৪টায় দুই সন্তান ফ্যানের সাথে মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে ডাকাডাকি করে। পরে দরজা ভেঙে স্বজনরা লাশ নামিয়ে দেখেন পম্পী বেঁচে নেই।’
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় উক্ত গৃহবধূর স্বামী লিটন মালাকারকে গ্রেপ্তার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।’