স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ড্রামে ভরে ফেলে দেয় স্বামী

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

পারিবাহিক কলহের জেরে স্ত্রী আতিয়া রহমানকে গলাটিপে খুন করেন সোহানুর রহমান সোহান। পরদিন দুই বন্ধুর সহযোগিতায় ড্রামে ভরে লাশটি নিয়ে যায় নিজ কর্মস্থলের গুদামে। বাসা ছাড়ার অজুহাতে সেখানে রাখেন দুইদিন। পরে সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে ফেলে দেয় পতেঙ্গা এলাকার কালীবাড়ি সড়কে।
গত ১৩ অক্টোবর নগরের পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আতিয়ার স্বামী সোহান ও তার সহযোগী মো. রুবেল, মো. আশিক ও লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে সোহানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, দুই মাস আগেই নির্মাণ শ্রমিক সোহান ও আতিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তাদের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।পুলিশ জানায়, সোহান পতেঙ্গা স্পেক্ট্রা কন্সট্রাকশনে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। আতিয়াকে হত্যার পরদিন সকালে সোহান তার বন্ধু রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে আনে। তাদের সহযোগিতায় মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে তার কর্মস্থল পতেঙ্গার একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে নিয়ে রাখে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর পূর্বদেশকে বলেন, মূলত দাম্পত্য কলহ থেকে এই হত্যাকাÐের ঘটনা। সোহানের সাথে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে আতিয়া আক্তারের সাথে ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়ার জেরে সোহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
তিনি বলেন, হত্যার পর বাসা ছেড়ে দেওয়ায় অজুহাতে কিছু সময়ের জন্য ঘরের ড্রামভর্তি মালামাল বলে কর্মস্থলের গুদাম ঘরে স্ত্রীর লাশ রাখে।
এদিকে হত্যার পর ১২ ও ১৩ অক্টোবর দুই দিন কাজ করেন সোহান। পরে ১৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে কর্মস্থলের গুদাম থেকে ড্রামটি বের করেন তিনি। রাতে গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পতেঙ্গা কালীবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এজন্য অটোরিকশা চালক লিটনকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর সোহান কুমিল্লা চলে যায়।