স্টপ হিউম্যান ট্রাফিকিং কর্মসূচি

70

জাতিসংঘ ঘোষিত “স্টপ হিউম্যান ট্রাফিকিং ক্যাম্পেইন” উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা চট্টগ্রাম শাখা মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চট্টগ্রাম শাখার সমন্বয়ক ও প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার সাংবাদিক মুখলিসুর রহমান ফরহাদী উক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করেন। কর্মসূচি: ক. আদালত অঙ্গনে মানব পাচার মামলায় সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় ও পরামর্শ গ্রহণ। খ. সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা। গ. ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময়। ঘ. স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মানব পাচার বিষয়ে মৌলিক ধারণা প্রদান এবং প্রতিকারে করণীয় বিষয়ক মুক্ত আলোচনা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল ল’ইয়ার এ.পি.পি এডভোকেট জামাল হোসেন, প্যানেল ল’ইয়ার এডভোকেট সাজিয়া সুলতানা মৌরী, এডভোকেট মহিউদ্দিন ফাহাদ, লেখক-গবেষক মাহমুদুল হক আনসারী, আক্কাস উদ্দিন, মায়মুনা আক্তার, জাহানারা বেগম, ফরিদা বেগম। লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাচার বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা এবং একটি ঘৃণ্য অপরাধ। পাচারের শিকার মানুষের মানবাধিকার নানাভাবে লঙ্ঘতি হচ্ছে। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর দরিদ্র্যতা, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব আর উন্নত জীবনের হাতছানি-এ সব কারণেই, নারী-পুরুষ ও শিশু পাচার ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। অনেকেই হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের আশায় পাচারকারী চক্রের কব্জায় চলে যায়। দরিদ্রতা এবং কর্মসংস্থানের অভাব থাকার কারণে অশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত নারী-পুরুষ ও শিশুরা পাচারকারী চক্রের দালালদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে না। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এধরনের ঘটনাগুলো ঘটে। বর্তমানে মানব পাচারকে নব্য দাস প্রথার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে এক ধরনরে সহিংসতা যা মানব সভ্যতার প্রতি উপহাস, বর্বর যুগের প্রতিচ্ছবি, মানবিক মূল্যবোধ ও অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করার নির্দেশনার এক করুন প্রতিচ্ছবি। বিশ্বজুড়ে মানব পাচার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সব নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে মানব পাচার প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি