স্কুলছাত্র ও জাহাজের সুকানি নিহত

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

শহরতলীর বালুছড়া ও নগরীর বন্দরের নিমতলা এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে বালুছড়ায় বাস থেকে ছিটকে পড়ে মারা যাওয়া স্কুলছাত্রের নাম মো. সাইফুল ইসলাম সায়মন (১২)। আর বন্দরের নিমতলা এলাকায় লরির ধাক্কায় মারা যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহী মো. খাজা ওয়াসিম উদ্দীন জুয়েল (৪৫) পেশায় সমুদ্রগামী জাহাজের সুকানি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে শহরতলীর বালুরছড়া এলাকার নতুন পাড়া ব্রিজের উপরে এসে তিন নম্বর বাস টার্নিং নেয়ার সময় চলন্ত বাস থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায় স্কুলছাত্র সায়মন। এসময় উল্টো দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সায়মনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত মো. সাইফুল ইসলাম সায়মন রাঙ্গুনিয়া থানার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. কুতুবের ছেলে। সে রাঙ্গুনিয়া থানার জাকিয়া একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
একইদিন নগরীর বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাজের সুকানি নিহত হয়েছেন। তার নাম মো. খাজা ওয়াসিম উদ্দীন জুয়েল (৪৫)। নিহত জুয়েল মিরসরাইয়ের পশ্চিম ঈসা খালী এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাজা ওয়াসিম উদ্দীন জুয়েল মোটরবাইক ভাড়া করে বন্দর থেকে সিইপিজেড যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নিমতলা এলাকায় একটি লরি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় তার উপর দিয়েই লরি চলে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। জুয়েলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিসক ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মরদেহগুলি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত দু’জনের মধ্যে একজন স্কুলছাত্র এবং অন্যজন পেশায় জাহাজের সুকানি বলে জানা গেছে।