সৌম্য সরকার

20

সাতক্ষীরা জেলায় ২৫ ফেব্রæয়ারি, ১৯৯৩ জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ এ-দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল, ঢাকা গø্যাডিয়েটর্স, খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলেছেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী। ৪-৭ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগে তার অভিষেক ঘটেছিল। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ঢাকা গø্যাডিয়েটর্স দলের পক্ষে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে খেলেছেন। ক্রিকেটার না হলে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ম ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে তার অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় তিনি ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান সংগ্রহ করেন। একই খেলায় তার সাথে তাইজুল ইসলামেরও অভিষেক হয়। খেলায় বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে জয় পেয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে দলকে বাংলাওয়াশ করে। ২০১৫ সালে ২২ এপ্রিল তিনি তার প্রথম ওডিআই শতক হাঁকান। মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআইয়ে ১১০ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ১২৭* রান তোলেন। তার এ ইনিংসটিতে ছয়টি ছক্কা ও ১৩টি চারের মার ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের (৬৪) সাথে জুটি গড়ে মূল্যবান ১৪৫ রান সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিমের (৪৯*) সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৯৭ রান তোলেন। এরফলে তার দল ১০ ওভারেরও বেশি বল বাকী থাকতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বাংলাওয়াশ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে ২৪ এপ্রিল মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টুয়েন্টি-২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। কিন্তু মাত্র ৩ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে রান আউটের শিকার হন তিনি। ঐ খেলায় অবশ্য সাকিব ও সাব্বির রহমানের ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিরাট জয় পায়। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ৪ জানুয়ারি বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ২০১৫ সালে ৯ মার্চ অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রæপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে (১০৩) সাথে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। খেলায় তিনি ৪০ রান সংগ্রহ করেন। এরপর মুশফিকুর রহিমের ঝড়োগতিতে ৭৭ বলে ৮৯ রানের সুবাদে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে। পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। সূত্র: বাংলাপিডিয়া