সৌদি সফরে এরদোয়ান, সম্পর্কে নতুন যুগের প্রত্যাশা

18

পূর্বদেশ অনলাইন
দুর্বল হয়ে পড়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সৌদি আরব সফর শুরু করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার এই সফর শুরুর আগে তিনি সৌদি আরবকে ‘ভ্রাতৃপ্রতীম’ দেশ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের নতুন যুগ শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমানের অনুরোধে দেশটি সফরে গেছেন এরদোয়ান। সম্পর্ক উন্নয়নের কয়েক মাসের চেষ্টার ফলে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তারা বলছেন, তুরস্কের অর্থনৈতিক দুর্দশা লাঘবে সহায়তা দিতে পারে সৌদি আরব। আগামী বছরের কঠিন নির্বাচনের মুখে রয়েছেন এরদোয়ান। এর মধ্যে বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির চাপে রয়েছে তুরস্কের অর্থনীতি। সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্ক উন্নয়ন, রাজনৈতিক, সামরিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরালো করা। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে বলে জানান এরদোয়ান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার সফরে আমরা তুরস্ক-সৌদি সম্পর্কের সব সম্ভাবনা পর্যালোচনা করবো। স্বাস্থ্য, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং আর্থিক খাতে সহযোগিতা জোরালো হলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে জানান এরদোয়ান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুল দূতাবাসে খুন হন সৌদি ভিন্ন মতালম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এতে সৌদি-তুরস্কের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। সম্প্রতি এই মামলার বিচারের ভার সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করেছে তুরস্কের আদালত। আঙ্কারা আশা করছে এরদোয়ানের সফরের মধ্য দিয়ে তুরস্কের পণ্য আমদানির ওপর সৌদি আরবের অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলে আসছে। এতে সৌদি আরবে তুরস্কের পণ্য আমদানি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
তুরস্কের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এরদোয়ানের সফর ঘিরে খুবই ইতিবাচক পরিবেশ বিরাজ করছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে ফের যৌথভাবে কাজ শুরু করার মতো ভিত্তি প্রস্তুত হয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র: রয়টার্স