সৌদি শ্রমবাজারে কেলেঙ্কারি : গ্রেপ্তার ৮ বাংলাদেশি

17

শ্রমবাজারে ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে আটজন বাংলাদেশি রয়েছেন। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুজন ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা। দুজন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। বাকি একজন ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ী।
সৌদি আরবের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা ফৌজদারি অপরাধে গত শনিবার তাদের গ্রেপ্তারের খবর দেয় বলে আবরব নিউজ ও আল অ্যারাবিয়া নিউজের বরাতে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ ফালাহ মুদি আল-শামারি ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কনসুলার সেকশনের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যজন খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি একই শাখায় উপ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। খবর বিডিনিউজ’র
আল আরাবিয়া লিখেছে, ওই দুই কর্মকর্তা দূতাবাসের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় শ্রমিক ভিসা ইস্যুর বিনিময়ে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল (১৫৪ কোটি টাকা) ঘুষ নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
নাজাহা’র বরাতে আরব নিউজ বলছে, তারা সৌদি আরবে ধরা পড়া অন্যদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন এবং সেই অর্থ তারা সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা হলেন- আদালতের নিরাপত্তা বিষয়ক সার্জেন্ট (রিয়াদ অঞ্চল পুলিশের) মেতাব সাদ আল-গানুম, রিয়াদে বিশেষ মিশন বাহিনীর কর্পোরাল হাতেম মাস্তুর সাদ বিন তাইয়্যেব।
৬০ হাজার রিয়ালের বিনিময়ে এ দুই কর্মকর্তা ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল-শালাউতের সঙ্গে সৌদির এক নাগরিকের ২ কোটি ৩০ লাখ রিয়ালের আর্থিক চুক্তি করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্তে নাম আসায় বাংলাদেশি নাগরিক আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক আল ইসলাম শাহ জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাজাহাকে উদ্ধৃত করে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তাররা ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ ভিসা বাণিজ্য করার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়াল পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সোনা ও বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে, যা অবৈধ শ্রম ভিসা বাণিজ্যের অর্থে কেনা।
অবৈধ ভিসা বাণিজ্য ও সৌদি আরবের বাইরে অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে আরও আছেন ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নূর, বাংলাদেশি জায়েদ উওসিদ মাফি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক আল ইসলাম, আজিজ আলহাক মুসলিম উদ্দিন ও আলামিন খান শহীদুল্লাহ খান।