সৌদি-ইরান চুক্তিতে চীনের ভূমিকায় কঠিন পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র

19

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্পর্ক পুনর্স্থাপনে সৌদি আরব ও ইরানের আকস্মিক চুক্তি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার সম্ভাব্য পথ আর ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের সুযোগসহ যুক্তরাষ্ট্রকে কৌতুহলী হয়ে ওঠার অনেক উপাদানই দিচ্ছে। এতে আরও একটি উপাদান আছে, যা ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে। সেটি হল- শান্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের ভূমিকা, তাও এমন এক অঞ্চলে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের প্রভাবের কথা সুবিদিত। বেইজিংয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্ব›দ্বী দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে চারদিনের আলোচনার পর শুক্রবার এ চুক্তির ঘোষণা আসে; চুক্তির আগে ওই আলোচনার খবর প্রকাশ্যে আসেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত না থাকলেও, সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়মিতই মার্কিন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য থেকে শুরু করে গুপ্তচরবৃত্তিসহ নানান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমাগত তিক্ত হয়েছে। দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি নিজেদের সীমানা থেকে অনেক দূরে প্রভাব বিস্তার নিয়েও প্রতিদ্ব›িদ্বতায় মেতেছে। কারবি শুক্রবার ঘোষিত চু্ক্িততে চীনের ভূমিকাকে খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন, ইরান ও এর প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর হামলার পাল্টায় কার্যকর সৌদি প্রতিরোধসহ নানান চাপই তেহরানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছে বলে মনে করে হোয়াইট হাউস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেফরি ফেল্টম্যানের মতে, ছয় বছর পর একে অপরের দেশে দূতাবাস খুলতে ইরান-সৌদি আরবের রাজি হওয়ার চেয়েও চীনের ভূমিকাই এই চুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক বলে মনে হচ্ছে। ‘এটি ব্যাখ্যা করা হবে বাইডেন প্রশাসনের গালে চপেটাঘাত ও চীনের উত্থানের প্রমাণ হিসেবে, যা সম্ভবত সঠিকই হবে,’ বলেছেন ব্রæকিংস ইনস্টিটিউশনের ফেলো ফেল্টম্যান। এমন এক সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে এই চুক্তি হল, যখন তেহরানের পারমাণবিক বোমা অর্জন আটকাতে ২০১৫ সালে তাদের সঙ্গে হওয়া ছয় বিশ্বশক্তির চুক্তি পুনরুজ্জীবনে যুক্তরাষ্ট্রের দুই বছরের ব্যর্থ চেষ্টার মধ্যে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে।