সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের রেল সংযোগ স্থাপনের ঘোষণা

31

মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী রাষ্ট্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ আরব আমিরাতের এক অনুষ্ঠানে রেল সংযোগের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নতুন রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েলে হাইফা বন্দর থেকে সৌদি আরব আমিরাতের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। আঞ্চলিক শান্তি এবং ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে আরব উপসাগরের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি এবং বাণিজ্যকে বৃদ্ধির অন্যতম পথ হিসেবে রেল যোগাযোগ কাজ করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্থল সেতু হিসেবে ইসরায়েল এবং আঞ্চলিক পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে জর্ডানকে ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে এই পদক্ষেপ। এমনকি এই রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রী পরিবহনের জন্য একটি আঞ্চলিক রেল নেটওয়ার্কও চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি এই মন্ত্রী বলেছেন, ভবিষ্যতে এ রেলওয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য,ইউরোপ, ভূ-মধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে সৌদি আরব,ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে যাত্রী পরিবহণ করা যাবে। এই উদ্যোগের ফলে দ্রæত,সস্তা এবং নিরাপদ আঞ্চলিক বাণিজ্য রুট তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভবিষ্যতে জর্ডানি, ফিলিস্তিনি, সৌদি ও উপসাগরীয় এমনকি ইরাকের অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে,ইসরায়েলের হাইফা এবং বেইত শিয়ান শহরের মধ্যে চালুকৃত দআল-মার্জ ট্রেন‘ হেজাজ রেলওয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক সংযোগ স্থাপনে তৈরি করা হয়েছিল;যা ২০১৬ সালে পুনরায় চালু হয়েছে। এই রেলসংযোগ বৃদ্ধি করে জর্ডান সীমান্তের কাছের জর্ডান নদীতে এবং পশ্চিম তীরের জালামাহ ক্রসিং ও জেনিন এলাকায় নেয়া হবে। এই রেলওয়ে পশ্চিমা বিশ্ব এবং পূর্বের জর্ডান,সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংযোগ তৈরি করবে। এই রেললাইনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে বলে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন।
এমনকি বাস্তবায়িত হলে ১০ বছরের মধ্যে এই প্রকল্প লাভজনক হবে এবং ইরাকের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। এই প্রকল্পের ফলে ইসরায়েলের বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুরনো শত্রূ ইরান যে হরমুজ প্রণালী ও বাব এল-মান্দেবে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে; সেটিও মোকাবেলা করতে এই প্রকল্প ভূমিকা রাখবে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা,প্রকল্পটি এই অঞ্চলকে বদলে দেবে। এ দেশগুলোর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে ও শান্তি এগিয়ে নিয়ে যেতে অবদান রাখবে।