সৌদির চাপের মুখে সংকটে বাংলাদেশ

24

চার দশক আগে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠাতে নতুন করে কঠোর চাপ প্রয়োগ করছে সৌদি আরব। এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না নিলে বাংলাদেশ থেকে আর কোনো শ্রমিক নেবে না এবং কর্মরত শ্রমিকদের ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছে দেশটি। এতে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
সৌদি আরবে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা ৩০-৪০ বছর ধরে বসবাস করছে এবং সৌদি আরব নিজেই এর মধ্যে অনেককে নিয়ে গিয়েছিল। এসব রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট না দিলে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানান, সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশা স্বপ্রণোদিত হয়ে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে ৮০ ও ৯০-এর দশকে অনেক রোহিঙ্গাকে নিয়ে গেছেন। অনেকে সরাসরি গেছে। কেউ কেউ হয়তো বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এখন তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনেকের সেখানেই জন্ম এবং তারা আরবিতে কথা বলে। তিনি বলেন, এটি আমরা পুরোপুরি জানি না।
তিনি বলেন, এখন তারা বলছে ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আছে। তারা বলছে, এদের কোনও পাসপোর্ট নেই এবং কোনও কাগজ নেই। তারা আরও বলছে, এদের তোমরা পাসপোর্ট ইস্যু করো। আমরা বলেছি, যারা আগে পাসপোর্ট পেয়েছে এবং তাদের পাসপোর্টের কাগজ যদি থাকে তবে আমরা নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করবো। কিন্তু এরা যদি আমাদের লোক না হয়, তবে আমরা নেবো না। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
বাংলাদেশের নাগরিক না হওয়ার পরেও কীভাবে সৌদি আরব পাসপোর্ট ইস্যু করতে বলে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা আমি কী করবো, এটা মুশকিল।
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দিলে অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জুনিয়র লেভেলে কেউ কেউ বলছে তোমরা যদি এদের না নাও বা পাসপোর্ট ইস্যু না করো তবে তোমাদের দেশ থেকে এত লোক আনছি, এটা আমরা বন্ধ করে দেবো এবং তোমাদের যে ২২ লাখ লোক আছে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থান নেবো। এই কথাগুলি জুনিয়র লেভেল থেকে আমাদের বলা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটি টিকবে না।
পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি বিষয়টি দেখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু সৌদি আরবের কিছুটা তাগাদা আছে। তারা বলছে, নাগরিকত্বহীন কোনও ব্যক্তি তারা রাখবে না। তারা বলছে তোমরা এটি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রায়ই তারা এ প্রশ্নটা তোলে।