সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের ঘোষণা ঐক্যফ্রন্টের

13

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল বুধবার জোটের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা, গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, দেশের মানুষও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি অনেক রকমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আবরার হত্যার ঘটনা, যেটা সবাই দেখেছে কিভাবে এটা ঘটানো হলো। ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মেধাবী নিরীহ ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে, এটা জঘন্য ব্যাপার। এই ধরনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা আজকে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ঢাকায় আগামী ২২ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা জনসভা করব। যেখানে আমাদের ফ্রন্টের সকলেই আসবেন বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন’।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নির্যাতনে আবরারের মৃত্যুর জন্য ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে। আবরার হত্যার প্রতিবাদে গত ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্ট ঢাকায় শোক শোভাযাত্রা করতে গিয়েও পারেনি পুলিশের বাধায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পাবেন কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নে কামাল বলেন, ‘আমাদের তো করে যেতেই হবে। পারমিশন দেবে, না দেবে- আমাদের করেই যেতেই হবে। দেখা যাক’। অনুমতি না পেলে কি করবেন- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাদের কাজ করতে হবে। তবে জনসভার অনুমতি না দেওয়া মানে সরকার সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। যদি এই ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করা শুরু করে আমি তো মনে করি, দেশের মানুষের তাদেরকে (সরকার) ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া উচিৎ’। খবর বিডিনিউজের
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া জানান, আবরার হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণস্বাক্ষর অভিযান করবেন তারা। এই ক্যাম্পেইনটা অনেকটা আমার বাবা (শাহ এএমএস কিবরিয়া) হত্যার প্রতিবাদে করেছিলাম। রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর- এই মডেলে তৈরি করা হচ্ছে। আমরা এই গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এটা বড় ডিসপ্লে করব ঢাকা শহরসহ অন্যান্য বড় শহরে। এর দিনক্ষণ পরে আপনাদের জানাব’।
মতিঝিলে কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এই সভায় জেএমডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ উর রহমান, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী ছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।