সোশ্যাল মিডিয়ায় যতকথা

5

মারিশ্যা উপত্যকা

রেজাউল করিম

পাখি ডাকে, অরণ্য ডাকে
মেঘ ডাকে ভরদুপুরে আমায়।
তাকিয়ে আছি নিবিষ্ট মনে
অনন্ত নীলিমায়-
দূর থেকে দেখে মনে হয় এতো পর্বতে
আগুনের টাটকা এক কুÐলি ধোঁয়া,
কাছে গিয়ে দেখি, এতো ধোঁয়া নয়
মেঘে মেঘে মেঘখেলা
শাদা মেঘ, কালো মেঘ, হলুদ মেঘ-
শ্বেতশুভ্র ঢেউয়ের কুহেলিতে
ঢেকে যায় সবুজ অরণ্য ;
মুহূর্তে মুহূর্তে বদলে যায় আকাশ
এই মিহি রোদ, এই ইলশাগুঁড়ি বৃষ্টি।
বিস্তীর্ণ ডুবোজলে সবুজ শ্যামল
কচুরিপানারা ঘুমিয়ে আছে বেঘোরে-
বহে হিম বাতাস, ভীষণ ভালো লাগে
চোখ জুড়ায়, মন ভরে-
কী বৈচিত্র্যময় রূপের আকর
শরতের এই মারিশ্যা উপত্যকা!

ডাক বিভাগের গাফিলতি

কাজী নাজরিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যতই শক্তিশালী হোক না কেন বিশেষ প্রয়োজন কিংবা জরুরী কাজে আমাদেরকে এখনো ডাক বিভাগের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। কোথাও কোন দরকারী কাগজপত্র, দলিল, চিঠিপত্র, আবেদন পত্র, বই এবং আরো অনেক কিছু পাঠাতে আমাদেরকে ডাক বিভাগের কাছে যেতে হয়। কিন্তু একসময় ডাক বিভাগ ছিলো একমাত্র অবলম্বন যেটা এখন কিছুটা কমে এসেছে। তবে অনেক জরুরী কাজ এখনো ডাক বিভাগের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। এই প্রসঙ্গে আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, কিছুদিন আগে আমার একক বই প্রকাশিত হলে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আমার বই নিতে ইচ্ছে পোষন করেন। তখন আমি ডাক বিভাগের উপর আস্থা রেখে অনেকগুলো বই পাঠাতে থাকি।প্রথমত আমি অনেক গুলো বই ডাক বিভাগ হতে রেজিষ্ট্রি করে পাঠাই আমার সেই বইগুলো খুব দ্রæত পাঠকের হাতে চলে যায়। প্রতিটা বই রেজিষ্ট্রি করতে ৩৫ টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে। দ্বিতীয় দফায় আমি আরো কয়েকটা বই রেজিষ্ট্রি করি সেগুলো ও ঠিক সময়ে পাঠকের হাতে পৌঁছে যায়। কিন্তু তৃতীয় দফায় আমার আস্থা বেড়ে যাওয়ার কারণ বশত আমি আরো কয়েকটা বই পাঠকের কাছে পাঠানোর জন্য ডাক বিভাগে যাই।এবার আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বইগুলো রেজিষ্ট্রি করবো না এমনিতেই পাঠিয়ে দিব।এই বইগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটা বই আবার আমি নিজে থেকে অনেক সম্মানিত মানুষের কাছে উপহার হিসেবে পাঠালাম। ডাক বিভাগ তখন বারবার বলতে লাগলো, ম্যাডাম আপনার বই এভাবে যাবে না!কিন্তু বইগুলোর ওজন মেপে ঠিকই একটা বইয়ের জন্য বিশ টাকা করে নিয়েছেন শুধু রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। যাইহোক তৃতীয় দফায় আমি বইগুলো পাঠানোর পর সবাইকে ইনবক্সে মেসেজ দিলাম বই হাতে পেলে আমাকে জানানোর জন্য। এদিকে বই পাঠানোর পনেরো দিন পর ও কেউ আমাকে বই পেয়েছে এরকম মেসেজ দেননি। এতে আমি হতাশ হলাম।আহা উপহার হিসেবে নিজে থেকে বইয়ের কথা বললাম অথচ কেউ বই হাতে পেলেন না। দুদিন পর আমি আবার পোস্ট অফিসে গেলাম। বিস্তারিত উনাদের সব বুঝিয়ে বললাম।
আমার সব কথা শোনার পর পোস্ট অফিসের সবার একটাই কথা রেজিষ্ট্রি ছাড়া কোন কিছু এখন যায় না! আমি চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন যাবে না? এটা কি সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রি করলেই যাবে? জরুরী বই কিংবা কাগজপত্রের কি কোন গুরুত্ব নেই? এতগুলো কথা নিজে নিজে বলে যাচ্ছি, যে কথাগুলো তারা কেউ কানে তুলছে না। তাদের এক কথা, যাবে না মানে যাবে না! আমি খুব হতাশ হয়ে ফিরে এলাম।সরকারি ডাক বিভাগের উপর আস্থা চিরতরে হারিয়ে গেলো। অবশেষে পোস্ট অফিস থেকে এইভাবে হতাশ হয়ে ফিরে এলাম!

স্ক্র্যাপবাহী লরীর কারণে কদমতলী-ডিটি রোডে যানজট

হাজী আবদুর রহিম

চট্টগ্রামের ইস্পাত কারখানাগুলোর প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের ড্রাম ট্রাক ও ২২ চাকার ৪০/৫০ টনের বিশাল লরীগুলো আগে মূল শহরের বাহিরে পোর্টকানেক্টিং রোড় হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত বিভিন্ন ইস্পাত কারখানায় চলাচল করতো। কিন্তু হঠাৎ বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত স্ক্র্যাপবাহী ড্রাম ট্রাক ও বিশাল আকৃতির লরীগুলো মূল শহরের মাঝ দিয়ে চলাচল করার কারণে নগরীর মাদারবাড়ী, কদমতলী, ধনিয়ালাপাড়, দেওয়ানহাট, পাহাড়তলীসহ বিশাল এলাকা যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এইসব এলাকায় রয়েছে বাসস্টেশন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশমুখ, রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বাণিজ্য এলাকা আগ্রাবাদে বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি অফিস। ফলে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী মানুষদের যানজটের কারণে প্রতিদিন দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এবং খোলা ট্রাকে পরিবহন করা স্ক্র্যাপের ভাঙা অংশ পথচারীদের শরীরে পড়ে নিত্যদিন নিরীহ পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ বিশাল আকৃতির স্ক্র্যাপবাহী গাড়ীগুলোর চালকদের শহরের মূল সড়কের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় পোর্টকানেক্টিং রোড় হয়ে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে চলাচলের নির্দেশ প্রদান করে নগরীকে যানজট মুক্ত করে জনদুর্ভোগ লাঘবে যেন সহায়তা করেন।