সোশ্যাল মিডিয়ায় যতকথা

23

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার

মোহাম্মদ শাহজাহান

‘কর্মেই গড়ে মানুষের জীবনসত্তা,
কর্মেই বণ্টিত হয় জান্নাত-জাহান্নামের ফায়সালা।’
(আল্লামা ইকবাল)
সব ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ। তিনি পৃথিবীতে যাকে যেভাবে চান ক্ষমতার মালিক বানান। প্রত্যেকেই আপন অবস্থানে কিছু না কিছু ক্ষমতার মালিক হয়ে থাকে। মহান আল্লাহর নির্দেশমতো ইনসাফের সঙ্গে ক্ষমতার ব্যবহার না হলেই তা জুলুমের শামিল হয়।
তবে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে শক্তি ও ক্ষমতা থাকে। এই শক্তি ও ক্ষমতা সকলে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না, বিশেষ করে ক্ষমতা। ক্ষমতা বিষয়টা যার মধ্যে আছে কেউ সঠিক ভাবে ব্যবহার করে, কেউবা খারাপ ভাবেই ব্যবহার করে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারাও তো রক্ত মাংসের মানুষ, চিন্তা চেতনা, বিবেক বুদ্ধি সব কিছুই প্রকৃত মানুষ অথচ তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার দেখলে মনে হবে মানব সন্তানের মধ্যে যে বিবেক থাকা দরকার তার এক বিন্দু পরিমানও নেই বরং পশুবৃত্তির সব কিছু বিবেক বুদ্ধিতে জায়গা দখল করে এ রকম কাজগুলো করতে কুন্ঠাবোধ করেনা । ন্যায় অন্যায় এর চেয়ে নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ায় একমাত্র কাজ তাদের । প্রতিষ্ঠান, সমাজে বিশৃংখলা অনাচার, হিংসা বিদ্বেষ, কোলাহল অশান্তি সব কিছুর মূলেই ক্ষমতার অপব্যবহার ।
কারণ সব কর্মজীবীর কিছু ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ থাকে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে স্বার্থ হাসিল করা ক্ষমতার সুস্পষ্ট অপব্যবহার। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারো ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম।
তাই ক্ষমতাকে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা আছে বলে অধস্তনদের অত্যাচার এবং জুলুম করা যাবে না।
সুতরাং শক্তি ও ক্ষমতা সঠিক কাজেই ব্যবহার করতে হবে। আল্লাহ তাআলা কুরআন-হাদিস মোতাবেক সহিহ জিন্দেগি যাপন করার তাওফিক দান করুন। অত্যাচার-জুলুম-অহংবোধ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধ হোক

আলতাফ হোসেন হৃদয় খান

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্য। বাঙালির ঐতিহ্য প্রবাদ বচনে রয়েছে মাছে ভাতে বাঙালির কথা। কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশে চালের উৎপাদনও চাহিদার তুলনায় কম নয়। বিশ্ব বাজারে চালের দামও অন্য সব শর্করা সমৃদ্ধ খাদ্য পণ্যের চেয়ে অনেক বেশি। তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে। ফলে এর প্রভাবে খোলা বাজারে বস্তা প্রতি ৩০০, ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা যুগের পর যুগ মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন করে মোমের প্রলেপ দিয়ে চকচক করে মিনিকেট নাম দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হয়ে আসছে। মিনিকেট নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ ও গণমাধ্যামে সংবাদ প্রচারে টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। মিনিকেট চাল বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভেজাল মিনিকেট চাল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও চালের সিন্ডেকেট চক্রকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের দমানো যাচ্ছে না কোন ভাবেই। দফায় দফায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মত চালের দাম বাড়ানোর কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ চালের বাজারের সিন্ডেকেট ভেঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর নজরদারি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সাধারণ মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখুন।

আমি নারী

আয়েশা সিদ্দিকা হ্যাপি

আমি নারী, তাতে আছে ভয় কি? আমি তো সব পরি। এসমাজে হাজারো অন্যায় অত্যাচার শিকার আমি, পুরুষদের হাজার অনুপ্রেরণারও উৎস আমি।
মনুষ্য সন্তান তৈরি করার কারিগরও আমি।
হ্যাঁ আমিই নারী, তাতে লুকানোর কী আছে ?
পুরো পৃথিবীর সাথে লড়াই করতে আমি পারি।
সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব গুলো পারি নিজের কাঁধে তুলে নিতে। আমি নারী অতি সাধারণ একজন গৃহিনী, একজন মা, একজন মেয়ে, একজন স্ত্রী,একজন বোন। হ্যাঁ আমি নারী, সকল অন্যায়ের প্রতিবাদও আমি করতে পারি। পরি ভালোবাসার মত ভালোবাসতে সবাইকে। পারি নিজের জটরে হাজার মানুষ তৈরি করতে। আবার পারি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে। আমি নারী সবকিছুর ভাগিদার আমি। আমায় ছাড়া চলতে পারবেনা পুরুষ। তবে কেনো এতো ছোট মনে করো নারী বলে আমায় ? শুনোনি কখনও রবি ঠাকুরের কবিতা ? ‘পৃথিবীর যা কিছু চির কল্যাণকর অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ তাহলে ভয় কী তোমার। তবে এসো সবাই একসাথে কাজ করি সংসার, সমাজ, এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।