সোশ্যাল মিডিয়ায় যতকথা

11

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে
ভুগছে হতদরিদ্র- মধ্যবিত্তরা

নূরনাহার নিপা

দ্রব্যমূল্যর দাম বৃদ্ধিতে দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। করোনার পর সরকার ঘোষিত লকডাউনের পর সাধারণ মানুষ যখন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চিন্তা করছে, ঠিক তখনই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়ে, সাধারণ মানুষ বিপাকে জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের ওপর। দ্রব্যমূল্য আওতার বাইরে চলে গেলে দারিদ্র্যতা সংসার চালাতে হিমসিম। কারণ মানুষের আয়ের সাথে ব্যায়ের পার্থক্য বেড়েছে। সমস্যা সব তো মধ্যবিত্তের যত,বড়লোকেরা বেশ আরামে দিনযাপন করছে। গরীবরা ঠিক মানিয়ে দিন চলে যায়। মধ্যবিত্ত চক্ষুলজ্জা, আত্মসম্মান চিন্তা করে নির্বাক। করোনায় হাজারো মানুষ কর্মহীন বেকার হয়ে পড়ে। একজন অটোচালক সারাদিন কত টাকা ইনকাম করে,বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ ভাড়া, গ্যাস ভাড়া, চাল,ডাল,সবজি, কেনার পিছনে খরচ হয়ে যায়।চিকিৎসা বা সন্তানের পড়ার খরচ হয়ে পড়ছে, সীমিত আয়ের টাকা দিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর আরেক দফা বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের যেমন চাল ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা,আলুর দাম ২৫ টাকা, চিনি ৮৫ টাকা,সয়াবিন তেল ২১০ টাকা,মুরগি ২১০ টাকা, মাছ, দুধ, লবণ, মসল্লা, সাবান, যে ডিম ১৫ টাকা, মাছ, মাংসের বদলে এক বেলা ডিম অসহায় মানুষদের প্রিয় খাবার খেয়ে খুশি থাকতো তাদের পরিবার। একটা ডিম ১৫ টাকা হলে মানুষ কি খাবে? দরিদ্র মানুষগুলো প্রতিদিন মাছ, মাংস, খেতে পারে না।
তাছাড়া যে কোন কাঁচা সবজি ৬০ টাকা এইভাবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। কয়দিন আগে দাম এক দফা বেড়েছিল। দ্রব্যমূল্যর দাম বেড়ে যাওয়া দেখা যাবে সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। দ্রব্যমূল্যর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে,সেটা হয়তো এই মুর্হূতে আমরা কল্পনা করতে পারছি না। সাধারণ মানুষ বেসামাল অবস্থা বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল,গ্যাস বিল এসবের দাম যখন বাড়ছে যখন কমানো যাচ্ছে না, তার মধ্যে খাবারের উপর চাপ পরছে হতদ্ররিদ্র মানুষ দিশেহারা।
এক সময় দেখা যাবে সাধারণ মানুষ তখন খাদ্যর অভাবে মানুষ মরে ও অদ্ভুত ভাবে বেঁচে থাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতি শিগগিরই ভেঙে পড়বে। কারণ দ্রব্যমূল্যর সাথে জীবন জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, একটি পরিবার কীভাবে তাদেও দৈনন্দিন জীবনকে নির্মাণ করবে তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যর ওপর, বর্তমান জনগণকে এক হতাশা গ্রাস করছে সে অনুপাতে বাড়ছে না আয়, খরচ বাড়ছে, জীবনযাত্রায় সাথে প্রভাব পড়েছে।
আমি মনে করি সরকারের প্রথম দায়ত্ব কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ সজাগ হতে হবে। তাহলে দেশের মানুষ দু বেলা পেট ভরে খেতে পারবে তাদের ছোট্ট আশা গুলো পূরণ হবে। তাই সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাই শুধু নয়। হাজার হাজার বেকার যুবকদের কর্মস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। এবং দায়িত্ব থাকা কালোবাজারি, অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মচারীদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রব্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে, জনজীবন আজ বিপযর্স্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকারের কাছে সাধারণ জনগণের একটা দাবি মানুষ শুধু ভালোভাবে বাঁচতে চাই।

আমি কবি নই

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ

কলম দিয়ে শব্দ বুনি
সে আমার স্বভাব,
লিখতে গিয়ে হোঁচট খাই
কথামালার বড্ড অভাব।

খুচিয়ে খুচিয়ে ঢু মারি
সমাজ সংস্কারের মরমে,
সাজিয়ে গুচিয়ে পারি না লিখতে
লজ্জ্বায় মরি শরমে।

নানা অসংগতি, দুর্নীতি যত
প্রতিটি বিহঙ্গে অর্জন
বলতে গেলে দেখিয়ে দিলে
শুরু হয় গর্জন।

চোরের মায়ের বড় গলা
কুটকৌশলে ধূর্ত,
নানা অনিয়মে পালিয়ে চলা
মানব হয় বিমুর্ত।

মাদককর্তা, ভূমি দুস্য
হয় এলাকার কর্তা,
দলগুলি তাই রঙ্গে মাকাল
পচনে আলু বর্তা।

সব কাজে শেযার চাই
হোক শত ভন্ডামী,
তলে তলে চোর সাধু
এক হয়ে করে গুন্ডামী।

নিরিক্ষাধর্মী তৃণমুলকর্মী
দেখা মিলেনা সহজে,
অসাধু জনে পাবলিক ভুগে
কাজ করে না গরজে।

তৃণমূলে আছে নাড়ীর টান
নেতা হওযা প্রয়োজন,
বুঝেন তারা মানুষের কথা
সুখে দুঃখে আপনজন।

দল বদলের গা ভাসিয়ে
চেয়ার নেয় ঘুষে,
সত্য করে বলেন দেখি
জনতা কী তা পুষে?

কবি নয় কাব্য বুনি
তুলে আনি দর্পণ,
সমাজ হোক সঠিক পতির
ভালবাসা করি অর্জন।

দোহাই আমার! করজোড় মিনতি
আমি নই তো কবি,
যা সত্য তাহা আকুতি
রোজ তার আকি ছবি \