সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর ওরশ আজ থেকে শুরু

167

গাউছুল আজম হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর তিনদিন ব্যাপী ১১৪ তম বার্ষিক ওরশ শুরু হচ্ছে আজ বুধবার থেকে। ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরীফে আসতে শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের লাখো ভক্ত-আশেকান। ওরশ উপলক্ষে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে পুরো মাইজভান্ডার এলাকা। ভক্ত-আশেকানদের জন্য পুরো মাইজভান্ডার এলাকায় করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ওরশে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিচ্ছেন। ওরশ উপলক্ষে ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রওজা ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভান্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও মাইজভান্ডারী স্পেশাল ফোর্স (এমএসএফ) দায়িত্ব পালন করছেন। মাইজভান্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (ম.) নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গাউছুল আজম হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর মাজার শরীফে গিলাপ চড়ানো, মিলাদ, তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
ওরশের প্রধান দিবস শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে ওরশ শরীফের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন হযরত মওলানা শাহছুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (ম.)। গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) এর ওরশ উপলক্ষে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (ম.) আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এসব কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প ও বিগত বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইড স্টাডি সেশন, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও উছুলে ছাবআ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব। বিজ্ঞপ্তি