এম. আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশের ছায়া সুনিবিড় একটি গ্রাম সৈদালী। মায়ানী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ চার ভাগে বিভক্ত সৈদালী গ্রামে বর্তমানে ৭ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র। মুক্তিযুদ্ধকালীন গ্রামের জনসংখ্যা ছিল পাঁচ শতাধিক। তার মধ্যে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৩ জনকে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অংশ নেন এই গ্রামের ২৪ কিশোর-যুবক। যাদের মধ্যে আজও ১৭ জন বেঁচে আছেন। সৈদালী গ্রামের জাহানারা ১২ বছর বয়সে হারিয়েছেন বাবা, চাচা, ফুফাতো ভাই। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আলা উদ্দিন হয়েছেন পিতৃহারা। রৈয়ছা বেগম হারিয়েছিলেন স্বামী। অগ্নিসংযোগে পুড়ে মারা যান জোবায়দা খাতুন। সভ্রম হারান সালমা-হাজেরা (ছদ্মনাম)। সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন গ্রামের টগবগে তরুণ বজলুর রহমান। পাকিস্তানি জান্তাদের গুলিতে আহত নুরুল আলম এখনো সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ান। ১৯৭১এর ২০ এপ্রিল মিরসরাই উপজেলার ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের সৈদালী গ্রামে পাকিস্তানীদের বর্বর গণহত্যায় শহীদ হন ২২ জন। যখন লাশগুলো দাফন করার মত কেউ ছিল না। একমাত্র ‘লেদু ফুফু’ ছাড়া। পুরো এলাকা হয়ে পড়ে পুরুষশূন্য।
২০ এপ্রিলের ১০ ঘন্টার নারকীয় তান্ডব: ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (তৎকালীন ট্রাংক রোড়) হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পাকবাহিনীর বিশাল গাড়ি বহর। মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজার অতিক্রম করার সময় সকাল ১১ টার দিকে ওই বহরের উপর আক্রমণ করেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে সশস্ত্র যোদ্ধারা। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে প্রতিরোধযুদ্ধ। পরে গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে পিছু হটেন মুক্তিকামী যোদ্ধারা। এ প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন হাবিলদার সিদ্দিক ও ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম। ওই যুদ্ধে দুই থেকে আড়াইশ পাক আর্মি হতাহত হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পাকবাহিনী প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বিকেল ৩ টার দিকে বড়তাকিয়া বাজারের পাশের সৈদালী গ্রামে প্রবেশ করে। সেখানে রাত আটটা পর্যন্ত অবস্থান করে ২২ জন নিরীহ নারী-পুরুষকে হত্যা করে। ধর্ষণ করা হয় দুই গৃহবধূকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি। নিহত ২২ জনের মধ্যে ২১ জনকে ভূঁইয়া পুকুরপাড়, লুতু পুকুরপাড় ও বিভিন্ন জমির গণকবরে সমাহিত করা হয়। অন্য একজনের লাশ খুঁজে পাননি স্বজনরা।
গণহত্যায় নিহতরা: সৈদালী গণহত্যার ঘটনায় নিহতরা হলেন- হামিদ উল্ল্যাহর ছেলে মোখলেছুর রহমান, মতিউর রহমানের ছেলে আবুল কালাম হোরা মিয়া, আব্দুর রশিদের ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে খোরশেদ আলম, নুরুল হক নুনুুর ছেলে মকছুদ আহম্মদ, জিন্নাত আলী মিস্ত্রির দুই ছেলে নজির আহম্মদ ও সুলতান আহম্মদ, আব্দুল হক মাস্টারের ছেলে কবির উদ্দিন, মোকাররম আলীর ছেলে শেখ আহম্মদ, আব্দুল গণির ছেলে আব্দুল মালেক, আব্দুল জব্বারের মেয়ে জোবায়দা খাতুন, আব্দুল লতিফের ছেলে তমিজ উদ্দিন, কেরামত আলীর ছেলে হাকীম বক্স, ইসমাঈল মিয়ার ছেলে বেদন আলী, আব্দুল জব্বারের ছেলে জায়দ আলী, আহম্মদুর রহমান ভূঁইয়ার দুই ছেলে সামসুল আলম ও নুরুল আলম, আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফকির আহম্মদ, আব্দুল লতিফের ছেলে রহিম বক্স, বদিউর রহমানের ছেলে আব্দুর রশিদ, মোকলেছুর রহমান মিস্ত্রির ছেলে মফিজুর রহমান, খলিলের রহমান মৌলভীর ছেলে হোসেনের জামান। যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈদালী গ্রামের বাসিন্দা দলিলের রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান।
৫০ বছর পর একসাথে কবরস্থ গণহত্যার শিকার নারী-পুরুষ: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার শিকার মিরসরাইয়ের ২১ নিরীহ নারী-পুরুষের বিক্ষিপ্ত সমাধিস্থল থেকে তুলে এক জায়গায় কবরস্থ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও সৈদালী নাগরিক ফোরামের আয়োজনে গণকবর স্থানান্তর করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সরকারি অর্থায়নে সৈদালী সিন্ধুরভিটা কবরস্থানে তাদের কবর স্থানান্তর করা হয়। এরা হলেন- সৈদালী গ্রামের মোখলেছুর রহমান, আবুল কালাম (হোরা মিয়া), আমির হোসেন, খোরশেদ আলম, মকছুদ আহম্মদ, নজীর আহমদ, সুলতান আহমদ, কবির উদ্দিন, শেখ আহমদ, আবদুল মালেক, তমিজ উদ্দিন, হাকিম বক্স, বেদন আলী, সামছুল আলম ভূঁইয়া, নুরুল আলম ভূঁইয়া, ফকির আহমদ, রহিম বক্স, আব্দুর রশিদ, মফিজুর রহমান, হোসেনের জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বজলুর রহমান। এছাড়া জোবেদা খাতুন ও জায়েদ আলীর কবর পূর্ব থেকেই এই কবরস্থানে ছিল।
মুক্তিযুদ্ধে আহত নুর হোসেন বলেন, ‘পাকবাহিনীর সৈন্যরা ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকা যাওয়ার পথে মিরসরাই থানার দক্ষিণে ফেনাপুনি পুল এবং বড়তাকিয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এসময় অনেক গোলাগুলি হয়। পরে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বড়তাকিয়া বাজারের পশ্চিম পাশের সৈদালীতে গণহত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় তারা। সেদিন আমাদের গ্রামে ২২ জন শহীদ হন এবং পরে আহত একজন মারা যান। আমার জ্যাঠাতো ভাই শহীদ কবির হোসেনও সেদিন হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। সেদিন আমাদের ঘর ও আমার চাচা-জ্যোঠাদের ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা। আমি অনেককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করি এবং আহতদের আবুতোরাব বাজারে নিয়ে চিকিৎসা করাই। এরপর সৈদালী গ্রামে বিরানভূমি দেখে দেশকে শত্রæ মুক্ত করতে অনেক সাথী-ভাইকে নিয়ে ভারতে চলে যাই।’
মুক্তিযুদ্ধে আহত নুরুল আলম বলেন, ‘পাকিস্তানীরা সৈদালী গ্রামের ওপর এক নারকীয় তাÐব চালিয়েছিল। ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য হলেও এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হোক।’
গণহত্যার শিকার শামসুল আলমের সন্তান মোহাম্মদ ইরানী বলেন, ‘আমার বাবার কবর কোথায় আমি জানি না। শুনেছিলাম পুকুরের পাড়ে কোথাও তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল্ল্যাহ্ সেদিনের স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘পাকবাহিনী গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আগুন দিতে শুরু করে। দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি পাঁচজন পাকসেনা দাঁড়িয়ে আছে। সাথে আমার চাচারাও ছিলেন। দুই পাকিস্তানি সৈন্য আমাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, এদিকে আয়। আমি আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকলাম। তখন আমার চোখের সামনে মেজ চাচাকে গুলি করে দিল। চাচা তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নড়াচড়া করে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর একজন ছাড়া অন্য পাকিস্তানি সেনারা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চলে গেলেন। বুঝলাম ওই সেনা সদস্য আমাদেরকে মারার জন্য অপেক্ষা করছে। আমার ছোট চাচার সঙ্গে কথা বলে সে পেছনে ১০ হাত দূরে সরে যায়। এরপর ৫-৬ টা গুলি করে। এই সময় আমি কীভাবে যে বসে গেলাম, নিজেই জানি না। আমার পেছনে থাকা ছোট চাচার গায়ে গুলি লেগে তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন।’
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন আনোয়ার উল্ল্যাহ্, ‘চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে আমি ওই সৈন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। অস্ত্র নিয়ে তার সাথে টানা-হেঁচড়া করি। একপর্যায়ে আমাকে সে বুট দিয়ে এমন এক লাথি মারলো, যেটা গুলির চেয়েও ভয়াবহ। উঠানে তখন একটা খেঁজুর গাছ ছিল। টানাটানির একপর্যায়ে সে খেঁজুর গাছে আঘাত পেলে অস্ত্রটা আমার হাতে চলে আসে। রাইফেল হাতে আসার আগে আমার ডান হাতে গুলি লেগেছিল। ডান হাত দিয়ে আমি রাইফেলটা চালাতে পারছিলাম না। এরপর বাম হাত দিয়ে রাইফেলটা ছুঁড়ে ফেললাম। সেটা ১০-১২ গজ দূরে গিয়ে পড়লো। সে রাইফেলের জন্য দৌড় দিল। আর আমি বিপরীত দিক দিয়েই দৌড় দিয়েছি। এরপর মুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন লাতু আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুস্থ হয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এরপর মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ স্বাধীনে অংশগ্রহণ করেছি।’
মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী বলেন, ‘সৈদালী গ্রামে যে গণহত্যা হয়েছে, তা দীর্ঘদিন অপ্রকাশিতই থেকেছিল। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত ২০ এপ্রিলকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে এলাকাবাসী। সৈদালী গ্রামের নিহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে নামসম্বলিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।’ সৈদালী নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘সৈদালী গ্রাম থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেন ২৪ কিশোর-যুবক। যাদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ জন বেঁচে আছেন। সবাই মিলে গণহত্যার ঘটনা গবেষণা-অনুসন্ধান শেষে বই আকারে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরো জানান, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গ্রামে ঢুকে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এসময় গ্রামের ২২ জন নীরিহ নারী-পুরুষকে গুলি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তারা। আমাদের দাবি একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং গণহত্যায় নিহত ২২ জনের পরিবারকে যেন শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। না হয় আগামী প্রজন্ম ইতিহান ভুলে যাবে।
মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ জানান, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের উপর মিরসরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধারা ফেনাপুনি মাজার ও হাজারী দিঘী এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে হানাদার বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারা যাত্রা বিরতি করে বড়তাকিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। সৈদালীর পুরো গ্রাম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নারী-পুরুষ হত্যা করে ও যুবতীদের ধর্ষণ করে।
মিরসরাই উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান সৈদালীতে অরক্ষিত গণকবর থাকার বিষয়টি জেনে তাদের একসাথে সমাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের দেহাবশেষ উত্তোলন এবং নতুন করে কবর দেওয়ার বিষয়টি শরিয়াসম্মত সম্পন্ন কওে সরকারি জমির ওপর কবর দেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই শতক জমি ক্রয় করেন। মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, উপজেলা পরিষদের ৬ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তায় ইতিমধ্যে গণকবর স্থানান্তর করা হয়েছে। আমাদের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরামর্শে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।
৪৬ বছর পর সৈদালী গণহত্যা দিবস পালন শুরু:
এদিকে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাক সেনাবাহিনীর গণহত্যার ঘটনার ৪৬ বছর পর ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল প্রথমবারের মত ‘সৈদালী গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে মধ্যম সৈদালী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তৈরি হয় বাঁশ, ইট ও কালো কাপড়ের স্মৃতিস্তম্ভ। অস্থায়ী এই স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয় শহীদদের নাম। সন্ধ্যায় সেই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। একইদিন বিকেলে সৈদালী নাগরিক ফোরাম আয়োজন করে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। সেই থেকে দিবসটি পালন করে আসছে সৈদালী নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন।