সৈকতে ডিম দিয়ে সমুদ্রে ফিরে গেল কাছিমটি

19

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রায় এক বছর পর আবারও কক্সবাজারে নির্জন সৈকতে ১শ ২৫টি ডিম দিয়ে গেল একটি সামুদ্রিক কাছিম। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পেঁচার দ্বীপ সৈকতে কাছিমটি ডিম দিয়ে সমুদ্রে ফিরে যায়।
ন্যাচার কনজার্ভেশন ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা যায়, পেঁচার দ্বীপ সৈকত এলাকায় একটি অলিভ রিডলে কাছিম ১শ ২৫টি ডিম দিয়ে গেছে। ইউএসএআইডির ইকো লাইফ প্রকল্পের আওতায় ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট এসিটু পদ্ধতিতে এসব ডিম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ মৌসুমে কক্সবাজার এলাকায় এই প্রথম সামুদ্রিক কাছিমের দেখা মিলেছে। কাছিমটি ডিম দিয়ে নিরাপদে সাগরে ফিরে গেছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এসব ডিম সংগ্রহ করে এসিটু প্রদ্ধতিতে সৈকতের বালিয়াড়ির নিরাপদ স্থানে ডিমগুলো সংরক্ষণ করা হয়। হ্যাচারিতে আগামী তিন মাস ডিমগুলো নিবিড় পরিচর্যা করা হবে। এরপর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে কাছিমের বাচ্চাগুলো আবার নিরাপদে সাগরে অবমুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, সাধারণত সামুদ্রিক কাছিম সৈকতে ডিম দেয় সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল ও মে মাসে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার সৈকতে সামুদ্রিক কাছিম খুব কমই দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে কাছিম ডিম পাড়ার সময় হলেও কাছিম এ সময়ে ডিম পাড়তে আসছে না। গত বছর জানুয়ারির ১৫ তারিখ কাছিম প্রথম ডিম দেয়। এ বছর জানুয়ারির ৩ তারিখ ডিম দিল।
জানা যায়, কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও সোনাদিয়া দ্বীপে ১০টি হ্যাচারি রয়েছে, যেখানে কাছিমের ডিম সংরক্ষণ করা হয়। আর সোনাদিয়া সেন্টমার্টিন এবং দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের ৫২টি স্পটে এসে কাছিম ডিম পাড়ত। এখন সৈকতের ৩৪টি স্পটে এসে কাছিম ডিম দেয়। ২০২২ সালে এসব স্পটে কাছিম ডিম দিয়েছে ৫ হাজার ৬শ ৫০টি। এই ডিম থেকে ৪ হাজার ৩শ-র মতো বাচ্চা ফুটেছিল। প্রতিটি হ্যাচারিতে দুই থেকে আড়াই হাজার কাছিমের বাচ্চা ফুটে। এই হিসাবে কক্সবাজারে ২০ বছরে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন লাখ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয় সাগরে।