সেরা ফরোয়ার্ডের দৌড়ে মেসি-মানে-রোনালদো

49

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৮-১৯ মৌসুমের সেরা ফরোয়ার্ড হওয়ার লড়াইয়ে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সময়ের দুই সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাদের সঙ্গী হয়েছেন সাদিও মানে।
গেল মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিটি পজিশনের (গোলরক্ষক, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড) জন্য সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে গত বৃহস্পতিবার সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে উয়েফা। প্রতিটি পজিশন মিলিয়ে জায়গা পাওয়া ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে চারজনই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের।
বার্সেলোনা তারকা মেসি গেল মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছিলেন। তবে তারা সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে বাদ পড়ে যান। জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার প্রথম মৌসুমে রোনালদোর পা থেকে এসেছিল ৬ গোল। শেষ ষোলোতে তিনি দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছিলেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। আর শিরোপাজয়ী লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মানে গোল পেয়েছিলেন ৪টি।
রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসকে বিদায় করে গেলবার সেমিতে উঠেছিল নেদারল্যান্ডসের আয়াক্স আমস্টারডাম। দলটির স্মরণীয় অভিযানে মূল ভূমিকা রেখেছিলেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও মাথাইস ডি লিট। তারা আছেন সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে। তবে ঠিকানা বদলে সম্প্রতি মিডফিল্ডার ডি ইয়ং বার্সা ও ডিফেন্ডার ডি লিট জুভ শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে খেলা ৩২টি দলের কোচ এবং উয়েফার সদস্য ৫৫টি দেশের সাংবাদিকদের ভোটের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকা। তবে কোচরা নিজ দলের খেলোয়াড়দের ভোট দিতে পারেননি।
আগামী ২৯ আগস্ট মোনাকোতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র। সেদিনই ঘোষণা করা হবে পজিশনভিত্তিক সেরা খেলোয়াড়ের নাম।

উয়েফার বর্ষসেরা গোল মেসির

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ফ্রি-কিক থেকে করা মেসির গোলটি এবার উয়েফার বর্ষসেরা গোলের খেতাব জিতেছে। গত আসরে লিভারপুলের বিপক্ষে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুয়ে ওই গোল করেন বার্সা ফরোয়ার্ড।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে গোল পোস্টের ৩০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন মেসি। লিভারপুল ডিফেন্সের দেয়াল ডিঙিয়ে বল চলে যায় গোলমুখে। ঝাঁপিয়ে পড়েও শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন।
ওই ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্সের ধারেকাছেও ছিল না বার্সা। তারপরও শুরুতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ভালভার্দের শিষ্যরা। এরপর মেসির ওই ফ্রি-কিক। দূরত্ব অনেক, কিন্তু মেসির সেরা সময়ে সবই সম্ভব। অবিশ্বাস্য এক শটে গোল পোস্টের কোণায় পাঠিয়ে দিলেন বল। এটা ছিল গত আসরে তার ১২তম গোল (৯ ম্যাচে)।
ফিরতি লেগে মেসির সেই ছন্দ খুঁজেই পাওয়া যায়নি। জয় পায়নি বার্সাও। বরং ৩-০ গোলে জিতে যে দল ফাইনাল নিয়ে অনেকটা নিশ্চিত ছিল, সেই দলই কিনা হেরে গেল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। বিদায় নিল সেমিফাইনাল থেকেই। মেসির জাদুও যেন ওই মৌসুমের জন্য হারিয়ে গেল। পরে কোপা দেল রে’র শিরোপাও হাতছাড়া হয় বার্সেলোনার।