সেমিফাইনালেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন স্কোর! মুজিব শতবর্ষ টি-২০ ক্রিকেটের ফাইনালে আজ মুখোমুখি শামশুল আবেদীন ও জালাল উদ্দীন

20

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিজেকেএস’র বাঘা বাঘা অর্গানাইজারদের পাশাপাশি একজন গ্রাউন্ডসম্যান আবদুর রশিদের নামে টিম করে তার নামের প্রতি আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে সিজেকেএস বিরল সম্মান প্রদর্শন করলেও মাঠের খেলোয়াড়রদের অবহেলায় তাঁর বিদেহী আত্মা কষ্ট পেয়েছেই বলা যায়। মুজিব শতবর্ষ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জালাল উদ্দিন আহমেদ দল টুর্নামেন্ট এর সর্বোচ্চ স্কোর ১৬৫ রান করলেও জবাবী ইনিংসে মাত্র ৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় মরহুম আবদুর রশিদ দল। এটি এবারের টুর্নামেন্টের লজ্জাজনক সর্বনিম্ন স্কোর। ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ও টুর্নামেন্টের রেকর্ড।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় মুজিব শতবর্ষ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে জালাল উদ্দীন আহমেদ দল প্রতিপক্ষ আবদুর রশিদের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপনের ৫২ বলে সাত বাউন্ডারি ও চার ওভার বাউন্ডারিতে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাড় করায়। অন্যদের মধ্যে ওবায়দুল্লাহ ৪৬ ও রেজাউল করিম রাজিব ২১ রান করেন। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবদুর রশীদ দল ১৫.২ ওভারে মাত্র ৪১ রানে অলআউট হয়। তবে তাদের খেলার ধরন দেখে মনে হয়েছে তারা যেন ইচ্ছে করেই হেরে গেছে। কারণ দলকে ফাইনালে তুলতে যে চেষ্টার প্রয়োজন তারা তার বিন্দুমাত্রই করেনি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মোটেই খেলা উপযোগী ছিল না। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১০, তাও মাত্র একজনের। পাঁচ জন ফিরে যায় রানের খাতা না খুলতেই। বাকিদের রানসংখ্যা ১,২,৩,৭। তাদের যে নির্লজ্জ ব্যর্থতা তাতে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানের পরাজয় তাদেরকে একটুও লজ্জিত করেনি বলেই মনে হয়েছে। বিজয়ী জালাল উদ্দিন আহমেদ দলের খেলোয়াড় সাজ্জাদুল হক রিপন ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়। খেলা শেষে তাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন সিজেকেএস সহ-সভাপতি অ্যাড. শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী।
প্রথম সেমিফাইনালে আলহাজ রাশেদ আজগর চৌধুরী দল প্রতিপক্ষ শহীদ শামসুল আবেদীন দলের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে অধিনায়ক মাহাবুবুল করিমের ব্যাট থেকে। এছাড়া ইনজামামুল হক ১৪ ও সাদিকুর রহমান ১৩ রান করেন। শহীদ শামসুল আবেদীন দলের হয়ে মো. শোয়েব, আবু নাছের ফয়সাল, আরেফিন হোসেন ও আফ্রিদি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। ১১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শহীদ শামসুল আবেদীন দল আট বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় (১১৪ রান) তুলে নেয়। দলের হয়ে আরমান উল্লাহ ও মো. শোয়েব উভয়ে ২৩* রান করে, ইমরুল করিম ১৭ ও মুনতাসির ১৬ রান করেন। রাশেদ আজগর চৌধুরী দলের হয়ে ইনজামামুল হক দুটি উইকেট পান। অলআউন্ডিং নৈপুণ্যে মো. শোয়েব টানা ২য় খেলাতেও ম্যাচসেরা হন। খেলা শেষে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর, আবুধাবি টি-২০’র টিম বাংলা টাইগার্স এর স্বত্বাধিকারী, খ্যাতিমান ক্রিকেট সংগঠক মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী।
সিজেকেএস’র সাবেক ক্রিকেট সম্পাদক শহীদ শামশুল আবেদীন ও সিজেকেএস’র সাবেক কোষাধ্যক্ষ জালাল উদ্দীন আহমেদ দল এর মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ আজ বেলা সাড়ে ৩টায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল খেলা শেষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম ও সিজেকেএস সভাপতি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সিজেকেএস নির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলরবৃন্দ, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব আবদুল হান্নান আকবর অনুরোধ জানিয়েছেন।