সেবা ও মানবতায় উজ্জ্বল এক পুলিশ কর্মকর্তা

8

সাইফুর রহমান, খাগড়াছড়ি

সবুজে ঘেরা পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়িতে ২৫তম পুলিশ সুপার হিসেবে দীর্ঘ ২ বছর ৮ মাস সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে জনগণকে সেবা করে গেছেন মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৪ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পাহাড়ি এ জনপদে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নেমে আসে করোনা মহামারী। করোনা মহামারীর মধ্যে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে পুলিশের খাগড়াছড়ি ইউনিটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন চৌকস এ কর্মকর্তা। খাগড়াছড়িতে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনকালে খাগড়াছড়ির তিনটি পৌরসভা (খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড়), ৩৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন। পুলিশের ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এসব নির্বাচন ছিল স্বত:স্ফূর্ত ও অংশগ্রহণমূলক। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি দিয়ে কিছু সংখ্যক চোরা কার্বারী থাকলেও তা নির্মূলে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। যার ফল স্বরূপ ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারী পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে চোরাচালান মালামাল উদ্ধার অভিযানের সফলতার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছ থেকে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন প্রথম স্থান অর্জনকারী পুলিশ সুপারের সম্মাননা। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় খাগড়াছড়ির চোরাকার্বারী নির্মূলে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। চোরাচালান প্রতিরোধ ও মালামাল উদ্ধার অভিযানের সফলতার পুরস্কার হিসেবে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন প্রথম স্থান অর্জনকারী পুলিশ সুপারের সম্মাননা। গেল ৩ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে পাহাড়ের জনবান্ধব পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজের খাগড়াছড়ি জেলা হতে পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকায় বদলীর খবরে মর্মাহত হয়েছেন জেলাবাসী। এমন কর্মমুখর, জনবান্ধব, চৌকস কর্মকর্তার পেশাগত উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের নানা পদস্থ সদস্যবৃন্দ ও জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।