পূর্বদেশ ডেস্ক
ইউক্রেইনের উত্তরে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটির সেনা ছাউনিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮৭ ইউক্রেইনীয় সেনা নিহত হয়েছে। একে ইউক্রেইন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সব থেকে ভায়াবহ সামরিক ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে কিইভ। উত্তরে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেসনা এলাকায় গত সোমবার ওই হামলা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মস্কো থেকে এ সময় বলা হয়, তাদের একটি দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেইনের একটি সেনা প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। গত মার্চে পশ্চিমের ইয়ারাভিভ অঞ্চলে ইউক্রেইন সেনাবাহিনীর অন্য একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে একই ধরনের হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। তবে সেবারের তুলনায় এবার হতাহতের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি। খবর বিডিনিউজের
দেসনায় হামলার বিষয়ে ভিডিও লিংকে এক ভাষণে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘দেসনায় আজ আমরা কাজ শেষ করেছি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দেসনায় ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। সাতাশি জন সেনা। বিশ্ব ইতিহাস একটি বাঁক বদলের মোড়ে দাঁড়িয়ে… এটি সত্যিই সেই মুহূর্ত যখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, পাশবিক শক্তি বিশ্বকে শাসন করবে কিনা।’
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ব্যবসায়ী নেতাদের একটি সমাবেশে দেওয়া ওই বক্তৃতায় জেলেনস্কি রাশিয়ার উপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধও জানান।
গত ২৪ ফেব্রæয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই তিন মাসে রাশিয়ার পরিকল্পনা এবং যুদ্ধের বাস্তব অবস্থার মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী ধারণার চেয়ে বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তারপরও বলতে হবে, এখন পর্যন্ত যুদ্ধে রাশিয়াই এগিয়ে আছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রগতি না থাকলেও ধীরে ধীরে তারা ইউক্রেইনের এক একটি অঞ্চল দখল করে নিচ্ছে।
যুদ্ধের ময়দানের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে কিইভ দাবি করেছে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় নগরী সিভিয়েরোডোনেটস্কে রাশিয়ার একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছে। গত সপ্তাহে মারিউপোল দখলের পর রুশ সেনাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে ওঠে ওই নগরীটি। তিন মাস অবরুদ্ধ করে রাখার পর গত সপ্তাহে মারিউপোলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায় রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেইনের কয়েকটি অঞ্চলে তাদের পিছু হটার খবর পাওয়া গেছে।