সেতুর ওপর ট্রাক বিস্ফোরণ

11

পূর্বদেশ ডেস্ক

রাশিয়া ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্তকারী সেতুতে ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। বিস্ফোরণে সেতুর একটি অংশ ধসে পড়েছে। ২০১৪ সালের যুদ্ধে ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের যুক্তকারী কের্চ সেতুটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওই সেতুতে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৭ মিনিটে প্রথমে একটি মালবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে ক্রাইমিয়ার পথে থাকা একটি ট্রেনের জ্বালানিবাহী সাতটি ট্যাংকার ওয়াগনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় সড়ক সেতুর দুটি অংশ আংশিক ধসে পড়ে।
এ ঘটনায় যে তিনজন নিহত হয়েছেন তারা ট্রাক বিস্ফোরণের সময় কাছের একটি গাড়িতে ছিলেন বলে জানান রাশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তারা।
ট্রাক বিস্ফোরণের এই ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানায় বিবিসি। তবে সরাসরি দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ক্রাইমিয়া, সেতুটি, এটা কেবল শুরু। অবৈধ সবকিছু অবশ্যই ধ্বংস হবে, যা কিছু চুরি হয়েছে তার সবই অবশ্যই ইউক্রেইন ফেরত পাবে, রাশিয়া যা কিছু দখল করেছে তার সবই বাতিল হবে’।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কের্চ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে গত এপ্রিলে রাশিয়ার ‘মস্কোভা মিসাইল ক্রুজার’ ডুবে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে টুইট করেছে। বলেছে, ‘ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়ায় রুশ শক্তির দুইটি কুখ্যাত প্রতীকের পতন হয়েছে। এরপর লাইনে কী?’
ইউক্রেইন সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্রুপ করে টুইটে লেখা হয়েছে, ‘খুবই খারাপ’। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণায় থেকে সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেইনের পক্ষ থেকে করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘একটি বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনায় কিইভ সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে তা তাদের সন্ত্রাসী মনোভাবের প্রমাণ’। খবর বিডিনিউজের