সেই ইউনিপের চেয়ারম্যান-এমডির ১২ বছর সাজা

43

মুদ্রাপাচারের অভিযোগে দুদকের এক মামলায় ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ কোম্পানি ইউনিপে-টু-ইউ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে ১২ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে মামলার ছয় আসামিকে সব মিলিয়ে ২৭০২ কোটি ৪১ লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনের উপস্থিতিতে গতকাল গতকাল বুধবার আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি।
দন্ডিত আসামিরা হলেন ইউনিপে-টু-ইউ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনতাসির হোসেন, চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান শাহীন, নির্বাহী পরিচালক মাসুদুর রহমান, মহা ব্যবস্থাপক এ এম জামসেদ রহমান,
উপদেষ্টা মঞ্জুরুল এহসান চৌধুরী এবং ইউনিল্যান্ড লিমিটেডের পরিচালক এইচএম আরশাদ উল্লাহ। তাদের মধ্যে শহীদুজ্জামান শাহীন, মাসুদুর রহমান ও মঞ্জুরুল এহসান চৌধুরী পলাতক। খবর বিডিনিউজের
রায়ে আদালত বলেছে, গ্রেপ্তার আসামিদের সাজা থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে। আর জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।
২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ঢাকার শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউনিপে-টু-ইউ আমদানি, রপ্তানি ও মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের নিবন্ধন নিয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু আসামিরা বিনিয়োগের আইনকানুন ভঙ্গ করে ‘ভারচুয়াল গোল্ডে’ কথিত বিনিয়োগের কথা বলে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি মুনাফার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। তাদের প্রচার ও অপকৌশলে বিভ্রান্ত হয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় মানুষ ২০০৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিটি ব্যাংক নিউ মার্কেট শাখা, এনসিসি ব্যাংক নারায়গঞ্জ শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখায় মোট ২৪৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৫৪ টাকা জমা করে’।
আসামিদের মধ্যে ইউনিপে-টু-ইউর এমডি মুনতাসির হোসেন ও চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান শাহীন ২৫ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ২০৭ টাকা ‘খরচ দেখিয়ে’ তুলে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর বা রূপান্তর করেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শস্তিযোগ্য অপরাধ।
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২২ জুন এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৫ সালের ৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত গতকাল বুধবার ছয় আসমিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজার রায় দিল।