সুয়ারেসের বিয়ের দশকপূর্তি উদ্যাপনে মেসি-নেইমাররা

12

ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে আক্রমণভাগের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জুটি বলা হয় ‘এমএসএন’ (মেসি, সুয়ারেস, নেইমার) ত্রয়ীকে। এই ত্রয়ীতে ভর করে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পেয়েছিল বার্সেলোনা। মাঠে এই ত্রয়ীর রসায়ন যেমন চমৎকার ছিল, মাঠের বাইরেও তাদের বন্ধুত্ব বেশ ঘনিষ্ঠ। নেইমার পিএসজিতে পাড়ি জমালেও মেসি-সুয়ারেসের জুটি এখনও অটুট।
এর আগে মেসির বিয়েতে সপরিবারে হাজির হয়েছিলেন সুয়ারেস। বিয়ের আনন্দে শরিক হতে কয়েকদিন আগেই মেসির আর্জেন্টিনার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তিনি। দুই পরিবার একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। দুজনের পারিবারিক সম্পর্ক যে বেশ ঘনিষ্ঠ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে প্রিয় বন্ধুর বিয়ের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে আর তাতে মেসি থাকবেন না তা কি করে হয়।
বড়দিন আর শীতকালীন ছুটি কাটাতে আপাতত নিজ নিজ দেশে অবসর কাটাচ্ছেন মেসি ও সুয়ারেস। এই ছুটির মধ্যেই জমকালো আয়োজনে হয়ে গেল সুয়ারেস ও সোফিয়া বালবি জুটির বিয়ের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। এদিন আবার একে অন্যকে আংটি পরিয়ে নতুন করে আজীবন পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। এ উপলক্ষে উরুগুয়ের পান্তা দেল এস্তের কাছে বিলাসবহুল ‘লা বারা’ পর্যটন কেন্দ্রে বড় এক আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুয়ারেসের বার্সা সতীর্থ সার্জিও বুসকেতস এবং জর্দি আলবা। এছাড়া মেসির সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন মেসির জীবনসঙ্গিনী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। ব্রাজিলের স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারও।
আলবির সঙ্গে সুয়ারেসের পরিচয় আজ থেকে ১৪ বছর আগে। এরপর প্রণয়। ২০০৯ সালে আইনিভাবে দুজনের হাত এক হয় আমস্টারডামে। কিন্তু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর, মন্টেভিডিওয়ে। সাবেক লিভারপুল স্ট্রাইকার ও তার স্ত্রীর তিন সন্তান রয়েছে।