সুসজ্জিত পিকআপে পুরো শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা

13

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে নেপালের কাঠমান্ডু জয় করে দেশে ফিরে আসা খাগড়াছড়ির তিন কৃতি ফুটবলার আনাই, আনুচিং, মনিকা ও নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমাকে ছাদখোলা জীপ ও মোটর শোভাযাত্রায় বরণ করে নিয়েছে পার্বত্য খাগড়াছড়িবাসী।
গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাঙ্গামাটি থেকে সড়ক পথে খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া পৌঁছলে নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সাফজয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুল দিয়ে বরণ করার পর সুসজ্জিত একটি ছাদখোলা জীপে করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহকারে খাগড়াছড়ির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় আনাই, আনুচিং ও মনিকাকে। পরে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের খোলা মঞ্চে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
এসময় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. নুরুল আযম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরূপা চাকমা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা আযম, বাংলাদেশ ফুটবল দলের সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমা ও কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সাফজয়ী ফুটবল কন্যাদের অভিনন্দন জানিয়ে সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা বলেন, জয়ের স্রোতে তোমরা গা ভাসিয়ে দিওনা। বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে থাকে ক্ষুদে ফুটবলারদের তুলে আনতে হবে। তৃষ্ণার মতো একদিন কোচের দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, ওরা বৃহত্তর চট্টগ্রামের গর্ব। আমাদের মেয়েরা সাফ জয় করে ঘরে ফিরেছে। এটি আমাদের গর্ব। ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য না করে সকলকে সমসুযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে সমসুযোগ পেয়েছে বলেই দুর্গম জনপদে বেড়ে ওঠেও আনাই-আনুচিং-মনিকারা খাগড়াছড়ির মুখ উজ্জল করেছে।
সাফ জয়ের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ের স্বপ্ন দেখেন সাফজয়ী ম্যাজিক্যাল ফুটবল কন্যা মনিকা চাকমা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমা বলেন, খাগড়াছড়িবাসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। খাগড়াছড়িবাসীর ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমাদের সাফজয়ী মেয়েরা আরও এগিয়ে যাবে।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদার, লক্ষীছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শাহেনা আক্তার ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট, টি-শার্ট ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের ঘোষিত প্রত্যকের হাতে একলাখ টাকার চেক ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় চার কৃতি ফুটবল কন্যাকে।