সুষ্ঠূ ভোট নিয়ে শঙ্কা বিএনপির

33

চসিক নির্বাচনে ইতোমধ্যে প্রচারণায় বাধা প্রদান থেকে শুরু করে প্রার্থীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের সুষ্ঠূ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও অলিগলি থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন অন্তত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এমনটা আশা বিএনপির। ব্যাপক মানুষের সাড়া পাওয়াতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে এখনো শঙ্কায় দলটি। এরপরও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত আছে দলটির।
আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচারণায় ব্যস্ত বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে এধরনের কোনো ঘটনার এখনো ঘটেনি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং গতকাল বিএনপির মেয়র প্রার্থীর গাড়িতে হামলার ঘটনা ছাড়া মোটামুটি বেশ উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার মাধ্যমেই চলছে প্রচারণা।
প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, আমরা যেখানে গণসংযোগে যাচ্ছি সেখানেই ব্যাপক মানুষের সমাগম হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রার্থী প্রত্যেকটা অলিগলিতে যাচ্ছেন। এলাকার মা-বোনরাও আমাদের প্রচারণায় নেমে আসছেন। অনেকে প্রার্থীকে তাদের ঘরে ডাকছেন। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব না হলেও অন্তত কিছু ঘরের মা-বোনদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। ব্যাপক সাড়া আছে, সুষ্ঠূ নির্বাচন হলে আমাদের প্রার্থী অবশ্যই জয়ী হবেন।
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বেশ উচ্ছ্বা-উদ্দীপনার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার চালালেও নির্বাচনের সা¤প্রতিক অভিজ্ঞতা সুখকর নয় দলটির। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনগুলো নিয়েও বরাবরের মতো অভিযোগ আছে বিএনপির। এরপরও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী দলটি। চট্টগ্রাম সিটিতে অন্তত নিরপেক্ষতার প্রমাণ রাখবে নির্বাচন কমিশন এমনটা আশা করছেন তারা। গণসংযোগেও মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সবাইকে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহব্বান জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক একরামুল করিম বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন জনপ্রিয় প্রার্থী। আমাদের প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানে ব্যাপক জনসমর্থন দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে পর্যন্ত ডা. শাহাদাতের প্রচারণা চলছে। নির্বাচনের সুষ্ঠূ পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা আশা করি, অন্তত চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনের সুষ্ঠূ পরিবেশ নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠূ পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে পারলে ধানের শীর্ষ প্রতীক বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারণায় ব্যাপক মানুষের ঢল নামলেও ভোটের পরিবেশ কি হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত প্রার্থী থেকে ভোটাররাও। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোতে যতটা ভয়ে আছে, তারচেয়ে বেশি শঙ্কা আছে ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে। তাছাড়া ইভিএমে কারচুপি হতে পারে এমনটাও মনে করছেন বিএনপির নেতারা।