সুষ্ঠু ভোটের বড় আয়োজন

17

রাহুল দাশ নয়ন

গাইবান্ধায় নির্বাচনী অনিয়মে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পর নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার মিশনে নেমেছে ইসি। তুলনামূলক অনেকটা ‘ছোট নির্বাচন’ হলেও জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ যেন সুষ্ঠু ভোটের বড় আয়োজন। প্রতি কেন্দ্রে তিনটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খরা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম পূর্বদেশকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে ভোটকেন্দ্রে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণে পুলিশ কাজ করছে। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্র উপজেলা প্রশাসন ও তার আশেপাশে হওয়ায় বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এরপরেও আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি’। আগামি ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। ১৫ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৩১ জন। পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৬৩৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫টি ও ভোটকক্ষ ৩০টি। নির্বাচন শেষে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মোট ২১ জনের জেলা পরিষদ গঠিত হবে। এরমধ্যে চেয়ারম্যান একজন, সাধারণ সদস্য ১৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হবেন পাঁচজন। প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, সদস্য পদে ৬৬ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণায় আছেন।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চারজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তাঁরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খাঁন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবাল, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ও মো. সাদ্দাম হোসেন। ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল। ভোটকেন্দ্রগুলোও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভোটগ্রহণকারী ১৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৬০ জন পোলিং কর্মকর্তাকে নগরীর ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য থাকবে তা নিয়েও কাজ করছে ইসি। ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এখনো পর্যন্ত আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচনের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সেটা বাড়তেও পারে’।