সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন

47

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে সরকার উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট চালাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিনা অপরাধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। দেশে এখন বিচারের নামে চলছে অবিচার। বিচারপতি এস কে সিনহার পরিণতিতে ভয় পেয়ে বিচার বিভাগ বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলনই ঘটছে এখন। আইন আদালতের সিদ্ধান্তে বিনা চিকিৎসায় কারারুদ্ধ রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণে মারার আয়োজন করছে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষের পক্ষে নতুন চান্দগাঁও থানার সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন মাহবুবের রহমান শামীম। এসময় নগরীর ইয়াছিন হাজীর বাড়ি, ১ কিলোমিটার, পেটারীপাড়া, হাবিলদ্বার বাড়ি, মীর বাড়ি চৌধুরী স্কুল, খাজা রোড, করমপাড়া এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। পরে বসুন্ধরা কমিউনিটি সেন্টারে এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি তারা এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন।
কর্মী সমাবেশে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার লক্ষ কোটি কর্মীরা বেঁচে থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশেষ হতে দিতে পারি না। আমাদেরকে গর্জে উঠতে হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে শামীম বলেন, গত এক দশকে নির্বাচন কমিশনকে দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন জনগণের ভোট রক্ষার জন্য নয় বরং ভোটচোরদের বৈধতা দানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য ইভিএমকে ব্যবহার করছে। এই ইভিএম দিয়ে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব। ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির অন্যতম হাতিয়ার।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ধানের শীষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক। আইনের শাসন ফিরিয়ে দেয়ার প্রতীক। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। চট্টগ্রাম-৮ আসনের ভোটাররা বিএনপির সাথে আছে। তাদের অন্তরে ক্ষোভ আর জ্বালা আছে, তারা অপেক্ষা করছে সুযোগের। তাদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। ইভিএম মেশিনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বচ্ছ ধারণা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে ভোটাররা। তাই নির্বাচনের আগেই ইভিএমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সভা করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তার অধীনস্থ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেওয়ায় তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষক শিক্ষিকারা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা সন্দিহান। সরকার দলীয় মন্ত্রী এমপিদের কর্মকান্ড নির্বাচনের জন্য অশনি সংকেত এবং প্রভাব বিস্তারের নোংরা কৌশল।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির আলম, মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বখতেয়ার, সহদপ্তর সম্পাদ মো. ইদ্রিস আলী, সহ আপ্যায়ন সম্পাদক আবদুল আজিজ, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা নুরুল আলম, সুজা চৌধুরী, নুরুন্নবী চৌধুরী, আইয়ুব আলী, আফিল উদ্দিন, আইয়ুব খান, আবুল বশর, মো. ইলিয়াছ আলী, আবু বকর, মহিলা দল নেত্রী শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এস এম রব, ম. হামিদ, গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মোর্শেদ কামাল, এসকান্দর হোসেন, মো. নুরুন্নবী, নাসির উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি