সুপ্রভাত বাংলাদেশ দেশেই তৈরি হচ্ছে ‘স্মার্ট স্মাইল’ সার্জিক্যাল ও কেএন-৯৫ মাস্ক অ্যাপারেল প্রমোটার্স-এর আরেকটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

61

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ???? কোটির অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছে ?? লাখের অধিক। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী তিন হাজারের অধিক চিকিৎসক ও তাদের সহযোগীর মৃত্যু হয়েছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, এ ব্যাপকহারে চিকিৎসক ও সহযোগিদের মৃত্যুর কারণ সঠিক সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব। বিশেষ করে নির্ভেজাল কেএন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই’র অভাবই চিকিৎসকদের জীবনঝুঁকিতে ফেলেছে। চীনসহ বিশে^র কয়েকটি উন্নত দেশে এ মাস্ক তৈরি হলেও সরবরাহে তা অত্যন্ত অপ্রতুল, ফলে অসাধু ও সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে নকল কেএন-৯৫ মাস্ক বাজারজাত করে চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত হয়। অপরদিকে বাংলাদেশে করোনার শুরু থেকে চিকিৎসকদের জন্য সঠিক কেএন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। নকল মাস্ক সরবরাহ নিয়ে যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল তার সত্যতাও পাওয়া গেছে, দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে; এখন বিচার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আরএমজি এক্সেসরিজ প্রস্তুতকারক দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড‘স্মার্ট স্মাইল’ ব্র্যান্ডনামের সাথে বাংলাদেশের বাজার ও রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্জিক্যাল ও কেএন-৯৫ মাস্ক উৎপাদন শুরু করেছে। এ খবর দেশ ও জাতির জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। এটি দেশের আধুনিক শিল্পাঙ্গনের জন্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। সুপ্রভাত বাংলাদেশ। অভিনন্দন অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
স্মার্ট গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট স্মাইল’সার্জিক্যাল ও কেএন-৯৫ মাস্ক তৈরির আগে এ গ্রুপের আরো একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান করোনার শুরুতে আন্তর্জাতিক মানের পিপিই তৈরি করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে এক লাখ পিচ সরবরাহ করেছিল। এপ্রিলের ওই খবরটি দেশের জন্য টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছিল। দেশের সকল মহল স্মার্ট গ্রæপকে অভিনন্দিত করেছিল। আজ কেএন-৯৫- এর সংকটকালেও কোম্পানিটি ‘স্মার্ট স্মাইল সার্জিক্যাল ও কেএন-৯৫ মাস্ক’ তৈরি করে দেশ ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সামর্থ ও ভাবমূর্তিকে উজ্জল করেছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ লাভবান হবে । এ জন্য অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেডকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে, অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটিড-এর এ প্রোডাক্ট তৈরিতে পূর্বদেশ পরিবারও আনন্দিত ও গর্বিত। কারণ এ প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট গ্রæপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান যেমনটি পুর্বদেশও। উল্লেখ্য যে, অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড ইতোমধ্যে চীনভিত্তিক গোল্ডেন ফাউন্ড কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ওই কারখানায় নিশ্চিত করা হয় মানুষের হাতের স্পর্শহীন এবং সম্পূর্ণ ধুলবালি মুক্ত পরিবেশে মাস্ক উৎপাদন, যা পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করবে। এ সংক্রান্ত পূর্বদেশে প্রকাশিত সংবাদে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাস্কের ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি (পরিস্রাবণ দক্ষতা) পরীক্ষা করতে ‘স্মার্ট স্মাইল’ বাংলাদেশেই তৈরি করেছে নিজস্ব পরীক্ষাগার। এই পরীক্ষাগারে মাস্কের ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি, পার্টিক্যাল ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি, ব্রিথেবলিটি এবং ব্লাড রেসিসটেন্ট ফিল্টারেশন নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করা যায়। সূত্র আরো জানায় কেম্পানিটি ‘মেল্ট-ব্লোন’ ফ্যাব্রিক ব্যবহার করছে যা চীন থেকে কাঁচা মাল হিসেবে আমদানির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে থ্রি-এম মাস্কগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘মেল্ট-ব্লোন’ ফ্যাব্রিককে বলা হয় মাস্কের প্রাণ, কেননা এই উপাদানটিই ব্যাকটেরিয়া এবং একাধিক ধরনের ধূলিকণাকে শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশে বাধা দেয়। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান সিআইপির যে বক্তব্য উল্লেখ করা হয় তা যথার্থই। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে পৃথিবীজুড়ে মাস্কের সংকট দেখা যায়। এই সংকট বাংলাদেশেও লক্ষ্য করা গেছে। কারণ রাতারাতি এর চাহিদা ব্যাপক আকার ধারণ করে। দেশের এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে এখন আমরাই মানসম্পন্ন মাস্ক তৈরি করছি।
আমরা আশাকরি, আমাদের বলিষ্ঠ সহযোগি এ প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কোন মানবিক সংকট মোকাবেলায় নতুন ও প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট বাজারজাত করছে-তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা স্মার্টগ্রুপের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।