সুপারবোল্ট

49

বজ্রপাতের শব্দ শুনলে যে কারো বুক হঠাৎ ধড়ফড় করে উঠে এক নিমেষে। আর সেটা যদি হয় সুপারবোল্ট, তাহলে তো কোন কথাই নেই। একসময় বজ্রের চেয়ে কঠিন সুপারবোল্ট এর অস্তিত্ব ছিল শুধুমাত্র গল্প সাহিত্যে। কিন্তু স¤প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে বাস্তবেও সুপারবোল্ট এর অস্তিত্ব রয়েছে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত দুটি নতুন গবেষণাপত্র: পরিবেশবিজ্ঞান অনুসারে ‘সুপারবোল্টস’ সাধারণ বজ্রপাতের চেয়ে পৃথক এবং এক হাজারেরও বেশি উজ্জ্বল হতে পারে।

এতদিন সুপারবোল্ট নিয়ে খুব একটা গবেষণা হয়নি। তবে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের স্যাটেলাইট পরীক্ষার মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা সুপারবোল্ট এর চমকপ্রদ অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন এবং প্রমাণ পেয়েছেন যে একটি সুপারবোল্টর মাধ্যমে প্রায় ১০০ গিগাবাইট শক্তিসম্পন্ন বজ্রপাত তৈরি হয়।

গবেষকরা আরও বলছেন, অনেকটা কমিক-বুকের সুপারহিরোদের মতোই সুপারবোল্টদেরও একটি অস্বাভাবিক উৎস রয়েছে। মেঘের বিজলি বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে তার চারপাশের বাতাসের অপরিবাহী ধর্মকে নষ্ট করে দেয়, যাকে বলে তুই এলেক্ট্রিক এক্সাম। এটি মেঘে অবস্থানকালে শক্তিশালী হয়ে প্রতি ইঞ্চিতে প্রায় ১০,০০০ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করে। ফলে এর আশেপাশের বাতাস পজিটিভ এবং নেগেটিভ চার্জে বিভক্ত হয়ে যায়, এই বাতাস প্লাসমা নামেও পরিচিত। এটি বাহিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক চলাচলের পথ বা শর্ট সার্কিট তৈরি করে দেয় এবং বজ্রপাত ঘটে। এই শর্ট সার্কিটের শক্তির জন্যই সুপারবোল্ট তৈরি হয়।

এর আগে ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি সুপারবোল্ট এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যেটি পারমাণবিক বোমার সমান শক্তিসম্পন্ন ছিল। তখন একেকটি সুপারবোল্টের কারণে প্রায় এক মাইল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সুপারবোল্টগুলি পাঁচ মিলিয়ন ফ্ল্যাশে প্রায় পাঁচবার ঘটে।