সুতা ও কাপড় ব্যবসায় জড়িতরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওসমান গণি

45

মনে রেখ শো-রুমের কর্ণধার ওসমান গণি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও প্রভাব পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্যবসা বাণিজ্যের। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কাপড় জাতীয় জিনিসের উপর। যেমন তুলা থেকে সুতা হয়। সুতার ফ্যাক্টরি থেকে শুরু হয়ে কাপড় পর্যন্ত এসে প্রভাবটা পড়েছে। এতে যারা সুতা এবং কাপড় ব্যবসার জড়িত তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। তারপরও সেটা মেনে নিতে হবে। এই ক্ষতির মধ্যে কারো হাত নেই। আমাদের চেয়ে কত শত বছর এগিয়ে যাওয়া দেশও এই ক্ষতি থেকে মুক্ত নয়। আমরা ব্যবসায়ীরা ১০ মাস কোনো মতে চলি। বাকি দুইমাস রমজান উপলক্ষে ব্যবসা করে মোটামুটি পুরো বছর কাভার করতে পারি।
তিনি বলেন, প্রতিবারের মত এবারেও রমজান উপলক্ষে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এই অবস্থায় এসে আল্লাহর রহমতে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। স্টক করা মালামাল যেভাবে আছে সেভাবে পড়ে আছে। এসব মালামাল এখন কি অবস্থায় আছে সেটা পর্যন্ত আমরা জানি না। দীর্ঘ সময়ে এক জায়গায় মালামাল পড়ে থাকলে নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে যার ব্যবসা যত বড় সে তত বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দুইমাস ব্যবসা বন্ধ। জানি না আরও কতমাস ব্যবসা বন্ধ থাকে। কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তবে অনেকেই ব্যবসা হচ্ছে বলে কর্মচারিদের বেতন ভাতা নিয়ে গড়িমসি করে। এই ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বলতে গেলে সবকিছু মিলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। তাছাড়া সবাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। কার ক্ষতি কে নিবে? তাই ব্যবসায়ীদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের প্রণোদনা জরুরি।