সীরতুন্নবী মাহফিলের ১৩তম দিন হারামকে হালাল মনে করা হলো দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

18

 

৫১তম সীরতুন্নবী (সা.) মাহফিলের ১৩তম দিনের অনুষ্ঠান লোহাগাড়া চুনতী শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের প্রথম অধিবেশনে সূরা ফাতেহার ফজিলাত ও তাফসীর বিষয়ে বয়ান করেন চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আবদুল হামিদ। দ্বিতীয় অধিবেশনের আলোচনায় অংশ নেন পটিয়া আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি শাহাদত হোছাইন ও মাওলানা মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদ। বক্তারা বলেন, হালাল ও হারাম ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিভাষা। সাধারণত ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে সব বৈধ বিষয়কে হালাল ও সব অবৈধ বিষয়কে হারাম বলা হয়। মুমিনের জন্য হালাল ও হারাম আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কোরআনে আল্লাহ এই সীমারেখা অতিক্রম করতে নিষেধ করেছেন। তাই প্রত্যেক মুমিন নিঃসংকোচে তার অনুসরণ করে। কাউকে খুশি করার জন্য হারামকে হালাল মনে করা দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সমান। এই আয়োজনে ছদরে মাহফিল ছিলেন চন্দনাইশ জোয়ারা ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজুল হক। না’আতে রসূল (সা.) পরিবেশন করেন আবু সাইদ মুহাম্মদ আকিল ও মুহাম্মদ তারেক মুসা। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক ও হাফেজ মুহাম্মদ রায়হান।
চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসেন ও মাওলানা জিয়াউল করিমের যৌথ পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মাহফিল মোতওয়াল্লী পরিষদের সভাপতি শাহজাদা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আব্দুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত, মাওলানা অলি উদ্দিন, হাফেজুল হক নিজামী, আবু তাহের, মাহবুবুল হক, ইমাম বায়হাকি, মোহাম্মদ জাহেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি