সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
সরকার খাদ্য শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছেন। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা অব্যাহত রাখতে উচ্চফলনশীল রোপা আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি ও পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম এসব কথা বলেন। কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহের সভাপতিত্বে ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ্ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি এম সেকান্দর হোসাইন, মুরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন চৌধুরী,সমবায় কর্মকর্তা এমএ শহিদ ভূঁইয়া, কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কৃষক ও দায়ীত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রমুখ। একইদিন পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে স্থাপিত আইপিএম মডেল ইউনিয়নের ২০টি গ্রুপের মাঝে নিরাপদ সবজি পরিবহনের জন্য ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সীতাকুন্ড প্রেসক্লাব, অনাবাদি পতিত জমিকে আবাদের আওতায় আনায় হাফিজ জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ জসীম উদ্দীন, ব্লক পর্যায়ে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের বিশেষ অবদান রাখায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম, পিপাস কান্তি চৌধুরীও সুমন কান্তি দাসকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে অগ্রসরমান দুইজন কৃষক ফৌদারহাটের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং দক্ষিণ রহমত নগরের মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৫হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হচ্ছে। তালিকাভূক্ত প্রতি কৃষককে ১ (এক) বিঘা উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান আবাদের জন্য প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হচ্ছে ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।
