সীতাকুন্ডে ২ ইউপি সদস্যের মনোনয়ন বাতিল

4

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ড উপজেলার মোট নয় ইউনিয়ন পরিষদের চারটিতেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন চারজন। বাকী পাঁচটিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের (সাধারণ- সংরক্ষিত) মনোনয়ন ফরম নেয়া ও জমা প্রদান প্রক্রিয়া শেষে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা পরপরই এই তথ্য জানা যায়। তবে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন দুই ইউপি সদস্য (পুরুষ) প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ঘাটতিজনিত জটিলতায় তাদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আগামি ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নের ৪ টিতে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার একক প্রার্থী সবার সকল কাগজপত্র সঠিক থাকায় তাদের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সংখ্যায় চারজন চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আর বাকি ৫ টিতে একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামি ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তাদের।
এই ৫ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী সংখ্যা ১৪ জন।আগামি ২৬ অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে কয়েকজন তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। ঐ দিন কোনো প্রার্থী যদি নিজ থেকে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন তাহলে ৫টি ইউনিয়নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থী হলেন উপজেলার ৫নং বাড়বকুন্ড ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মো. ইয়াসিন ও ৮নং সোনাইছড়ি ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন সিদ্দিকী।
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নয়জনসহ মোট ১৮ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন জাতীয় পার্টির ও অন্যগুলো আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র। ৯টি ইউনিয়নে ৮১টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৩৫০ জন সাধারণ মেম্বারপ্রার্থী। অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী মেম্বারপ্রার্থীরা ২৭টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৬৯ জন।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া চেয়ারম্যানপ্রার্থীরা হলেন সৈয়দপুর ইউনিয়নে এএইচএম তাজুল ইসলাম নিজামী, মুরাদপুর ইউনিয়নে এসএম রেজাউল করিম বাহার, কুমিরায় মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, সোনাইছড়িতে মনির আহমেদ। তারা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘চেয়ারম্যান সকল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ। সকল কাগজপত্র সঠিক থাকায় ৪ ইউপি চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ৩৫০ জন ইউপি (সাধারণ) সদস্যপ্রার্থীদের মধ্যে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী মেম্বারপ্রার্থীদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। আগামি ২৬ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে’।
উল্লেখ্য, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি, স্থায়ীভাবে ৮৬ ও অস্থায়ীভাবে ৪টি। মোট কক্ষের সংখ্যা ৬২৬টি, স্থায়ী ৫৮২, অস্থায়ী ৪৪টি। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৮৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮১ এবং নারী ভোটার ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬০৮ জন।