সীতাকুন্ডে ১৩ মণ ইলিশ জব্দ

8

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

গতকাল ৪ অক্টোবর থেকে আগামি ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রি বন্ধ থাকবে। কিন্তু সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় উপজেলা মৎস্য অফিস ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রথমদিন গতকাল সোমবার ৫২০ কেজি ইলিশ ও একটি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ছোট নদীতে ছুটে আসে। অর্থনৈতিক এবং প্রজনন সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই সরকার দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে যায় নদীতে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপি সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারি, ফৌজদারহাট ও সলিমপুর উপকূলীয় এলাকায় এ অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, ক্ষেত্র সহকারী মো. রুহুল আমিন ও ইনুমারেটরগণ। জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. শাহাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে উপজেলার ৯টি এতিমখানা ও গরিব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে নদী থেকে ইলিশ আহরণের সময় প্রথমদিনে অভিযান চালিয়ে কোস্টপার্ডের সহযোগিতায় আমরা ৫২০ কেজি ইলিশ ও একটি বেহুন্দি জাল জব্দ করেছি। জব্দ পরবর্তী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও গরীবদের মাঝে বিতরণ করেছি। বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময়ে এসব অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান’।