সীতাকুন্ডে লরি ও কাভার্ডভ্যান চুরি

26

সীতাকুন্ডে ফৌজদারহাট লিংক রোড-বন্দর বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রি-রোলিং মিল কারখানায় জন্য স্ক্র্যাপ বোঝাই লরি ও কাভার্ডভ্যান থেকে স্ক্র্যাপ লোহা চুরি করতো একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ডাকাত দলের সদস্যরা। চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখানে হত্যাকান্ডসহ নানাবিধ ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কোন ভাবেই ডাকাতি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছিলো না। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিংয়েও দফায় দফায় প্রতিকার চেয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও পুলিশের ভূমিকা ছিলো সন্দেহতীত। সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম লরি ও কাভার্ডভ্যানের ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজন ডাকাতকে ধরে পুলিশে দিলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সক্রিয় হয়ে পড়ে কাভার্ডভ্যানে ডাকাতিতে। গত ১৮ জুলাই আজাহার ইন্সপেক্টর সাইফুল হক এক ডাকাতকে আটক করলেও পরে তদবীরে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত সোমবার রাতভর স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে খোরশেদ পুলিশের সাথে থেকে লরি ও কাভার্ডভ্যানের ডাকাতির সিন্ডিকেট গ্রূপের অন্যতম চার সদস্যকে বাড়ি থেকে এক আটক করে পুলিশে দেন। কিন্তু দিনের বেলার দায়েরকৃত মামলায় ৫ নং আসামি করা হয় রাতজেগে আসামি ধরা ইউপি সদস্য খোরশেদকে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আজহার জানান, মামলার আসামি সম্পর্কে আমি জানি না। আটক ডাকাত দলের সদস্যদের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে ইউপি সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, এক মাস পূর্বে তারেক নামে এক ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ফের গত ১৮ জুলাই তাকে লরি ডাকাতি করার সময় আমি ও স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দেই। এ সময় ফাঁড়ির ইনচার্জ আমার থেকে স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষরও নেন। কিন্তু পরে তাকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেন। গত সোমবার পুলিশ ডাকাত দলের সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটকে অভিযান চালালে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি সারারাত পুলিশের সাথে থেকে আসামিদের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং সিন্ডিকেটের সদস্যদের রক্ষার জন্য আমাকেও আসামী করা হয়। যাতে প্রকৃত আসামীরা পার পেয়ে যায়। এভাবে পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা চলতে থাকলে আমরা সামনের দিনে অপরাধ দেখলোও চোখ বন্ধ করে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। সূত্রে জানা যায়, ফৌজদারহাট-বন্দর বাইপাস সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি সময় সোমবার রাতে ডাকাত সিন্ডিকেটের চার সদস্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, তারেক (৩০), জাবেদ (৩২) দিদারুল আলম (৩৫) ও মাসুম (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি সীতাকুন্ড উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের কালূশাহনগর এলাকায়। আটককৃত ডাকাত দলের কাজই হলো লিংক রোডে সংর্ঘবন্ধ হয়ে ডাকাতি করা।