সীতাকুন্ডে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার

45

মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ‘সাঈদী মুক্তি আন্দোলন’ এর নেতা অধ্যক্ষ নুরুল কবিরকে (৫৭) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি এমপিভুক্ত সীতাকুন্ড যুবাইদিয়া মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। গ্রামের বাড়ি উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা সাবদিনগর এলাকায় হলেও দীর্ঘদিন তিনি সীতাকুন্ড পৌরসদর সোবহানবাগ এলাকায় নিজের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালেও অধ্যক্ষ নুরুল কবির নাশকতায় জড়িত থাকার দায়ে মামলা পরবর্তী একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের নেতা ও উপজেলা জামায়াতের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহব্বায়ক সাইফুল ইসলামের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পুলিশ তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। গত ২ মে সাঈদীর মুক্তি দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুক্তি চেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং অন্যদের উস্কানি দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আল মামুন বলেন, সরকারের সুবিধা নিয়ে এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ অপ্রচার করলে আমরা উচিত জবাব দেবো।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে একজন শিক্ষক সরকারবিরোধী স্ট্যাটাস কীভাবে দেন?’ নুরুল কবির ২০১৩ সালেও সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের সীতাকুন্ড উপজেলার সমন্বয়ক ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন,‘আসামির বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা সাইফুল ইসলাম নামে একজনের করা আইসিটি মামলায় তাকে আটক পরবর্তী গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।’
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার করেছিলেন আর জামায়াতের রাজনীতি করবেন না। সেই হিসাবে আমি তাকে আবার স্বপদে বহাল রেখেছি। সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এবং সরকারের বেতন খেয়ে কিভাবে সে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে লিখে! ছাত্রলীগ নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আমিও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, সাঈদীর রায় আদালতের বিষয়। এ নিয়ে সরকারি সুবিধাভোগী কেউ মন্তব্য করতে পারেন না। নুরুল কবিরও এটি করতে পারেন না। বিষয়টি আমি শুনেছি।