সীতাকুন্ডে ফায়ার সার্ভিসের মাইকিং

11

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

টানা বর্ষণে সীতাকুন্ডের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধারাবাহিক ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে সীতাকুন্ড উপজেলায় পাহাড় ধস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।
উপজেলার সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকোপার্কের পাহাড় সংলগ্ন, চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকায় ও ছোটদারোগার হাট পাহাড়সহ বেশকিছু পাহাড়ের আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়।
সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল জানান, কক্সবাজারসহ সারাদেশে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সীতাকুন্ডের পাহাড়ি এলাকার জনগণকে সাবধানতা অবলম্বন করতে সচেতন করছি। সীতাকুন্ড পাহাড়ের ছোট ছোট টিলায় ও ঢালুতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। টানা বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোর মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বারৈয়াঢালা, সীতাকুন্ড পৌর সদর, কুমিরা, সলিমপুর, সোনাইছড়ি এলাকায় ১৬ হাজার ২৪৪ একর পাহাড়ি বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জায়গা বেদখলে। অবৈধ দখল হওয়া জায়গায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের ২০ হাজার লোকজন ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। বর্ষায় জায়গা বেদলের ভয়ে অনেকে নিরাপদ স্থানে না গিয়ে বিপদের মুখে ঢলে পড়েন। আমরা মাইকিং এবং সরাসরি গিয়ে বুঝিয়ে পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।