সীতাকুন্ডে নারীসহ দুই লাশ উদ্ধার

12

সীতাকুন্ডে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূসহ দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরে সোনিয়া আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূ ও সলিমপুর ইউনিয়নের ওভারব্রিজ ফকিরহাট ফকির পাড়া থেকে মো. সাহাবউদ্দিন (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে সোনিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশ। সোনিয়া আক্তার সোনাইছড়ি কেশবপুর এলাকার ক্ষবিউল হকের কন্যা। গত আট মাস পূর্বে চাপাইনবাবগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার আনারুল ইসলামের পুত্র আবুজার গিফারীর সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা স্থানীয় জহুর মেম্বারের ভাড়াঘরে থাকতেন। কয়েকদিন আগে সোনিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে বাপের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে যান। গতকাল সকালে ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্লোর থেকে গলিত সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছেন নিহতের স্বামী গলাটিপে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
অপরদিকে সলিমপুর ওভারব্রিজ ফকিরহাট ফকির বাড়ি এলাকায় নজির আহাম্মদ কন্ট্রাক্টারের ভাড়া বাসা থেকে ব্যবসায়ী মো. সাহাব উদ্দিনের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. সাহাব উদ্দিন চন্দনাইশ থানার সাতবারিয়া ইউনিয়নের আহাম্মদ আলীর পুত্র। সে তিনবছর ধরে ড্রাম ট্রাক, এস্কেভেটর ব্যবসার সুবাদে সলিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল সকালে বাড়ির মালিক বিল্ডিয়ের ছাদে গেলে জানালার ফাঁক দিয়ে ফ্যানের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা গৃহবধূ ও ব্যবসায়ীর গলায় ফাঁস দেওয়া লাশগুলো উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, নিহত গৃহবধূর স্বামী স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়েছে এবং ব্যবসায়িক টানাপোড়েনে পড়ে আত্মহত্যা করতে পারেন ওই ব্যক্তিটি। তারপরও আমরা দুটি বিষয় তদন্ত করছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিব।’