সীতাকুন্ডের এসআই মাহাবুবকে প্রত্যাহার

10

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে চুরিসহ একাধিক মামলার আসামি নুর ইসলাম ইরানকে ধরতে গিয়ে তার স্ত্রীকে মারধর ও টাকা লুটের ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম-সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল করিম।
এ ঘটনায় গত রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নুর ইসলামের স্ত্রী খালেদা আক্তার। একইভাবে অভিযোগের কপি সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে অনুলিপি প্রদান করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল এলাকায় পরোয়ানাভুক্ত নুর ইসলাম ইরানের নতুন বাড়িতে এসআই মাহাবুব মোরশেদসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী খালেদা আক্তারকে আলমারির চাবি দিতে বলেন। তিনি চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে ঘরে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা এবং ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।
অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যাকে আসামি হিসেবে ওয়ারেন্ট নিয়ে আটক করতে গিয়েছি, সে খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা কঠিন হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নুর ইসলাম ইরান একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। সে সমাজে চুরি, মারামারি, গুলিয়াখালী বিচে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। তার বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুন্ড সার্কেল) মো. আশরাফুল করিম বলেন, মহিলার অভিযোগটি সঠিকভাবে তদন্ত করতে রাতেই এসআই মাহবুব মোরশেদকে সীতাকুন্ড মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যে আসামিকে পুলিশ ধরতে গিয়েছিল, সে পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত আসামি এবং সেই অঞ্চলে ইয়াবা পাচারকারী চক্রের মূল হোতা। প্রাথমিকভাবে যেটা শুনেছি, তাতে মনে হচ্ছে আসামির স্ত্রীকে মারধর ও টাকা লুটের ঘটনা মিথ্যা। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।