সিলেটকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব!

2

বিপিএলের নবম আসর মাঠে গড়িয়েছে সপ্তাহ পার হয়নি। এরই মধ্যে জোরালো গুঞ্জন উঠেছে, চলতি আসরে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক পরিচালকের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট জুয়াড়িদের আখড়া; আইপিএল, পিএসএল, সিপিএলের দলগুলো থাকে তাদের হটলিস্টে। বাদ যায় না বিপিএলও। বিপিএল এলেই ফিক্সিং কিংবা বেটিং শব্দগুলো ঘুরেফিরে আসে। এর আগেও ফিক্সিংয়ের থাবায় বিপিএল বন্ধ হওয়ার ইতিহাস আছে। ফিক্সিং নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে দেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে। দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এর জন্য শাস্তিও পেয়েছেন।
বিপিএলের চলতি আসর ঘিরেও সক্রিয় বাজিকররা। এরই মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক পরিচালককে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও সিলেটের ওই কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে তৎক্ষণাৎ তা জানিয়ে দিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা-আকসুকে। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিবি কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বিষয়টি উড়িয়েও দেননি। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি, একটা দলকে এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আকসু বিষয়টি দেখছে।’
এদিকে, সিলেটের কোন পরিচালককে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটি জানা যায়নি। এছাড়া কে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, বিপিএলের আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে সেটি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে। ঘটনাটি ঘটে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিপিএলের দলগুলোর সরাসরি চুক্তির সময়। সে ক্রিকেটার অবশ্য অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দেননি। দলটির সঙ্গে সরাসরি চুক্তিতেও যাননি।
পরে ড্রাফট থেকে সেই ক্রিকেটারকে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে নিয়েছে। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের বিষয়টি সেই ক্রিকেটাও বিসিবিকে জানিয়েছেন।