সিরিয়া: গোলা থেকে বেঁচে গিয়ে ভূমিকম্পে নিহত

12

পরদেশ ডেস্ক

ভূমিকম্প সিরিয়ার অনেক ভুক্তভোগীর কাছেই যেন দীর্ঘ এক দশক ধরে চলমান দুর্দশারই একটি ধারাবাহিকতা। সোমবার ভোরের দিকে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি মৃত্যুর খবর জানা গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। গত ৮৪ বছরের মধ্যে এটাই তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এসএএনএ জানিয়েছে, সে দেশে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপশ্চিম অংশে। বিশেষ করে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুস শহরে। জাতিসংঘের হিসাবে ২০১১ সাল থেকে চলমান গৃহযুদ্ধে ওই অঞ্চলে এরইমধ্যে তিন লাখের বেশি প্রাণহানি হয়েছে এবং বিমান থেকে অব্যাহত বোমা বর্ষণে আগে থেকেই সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সোমবার সিরিয়ায় জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক এল-মোস্তফা বেনলামলিহ সিএনএনের ক্রিস্টিনা ম্যাফারলেইনকে বলেন, “এটা (ভূমিকম্প) যেন একটি সংকটের মধ্যেই আরেকটি সংকট।” তিনি বলেন, “যুদ্ধ ও অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলটির অবকাঠামো এমনিতেই বিধ্বস্ত হয়ে আছে। এই শহরগুলো ‘ভূতুড়ে নগরী’ হয়ে আছে … অনেক মানুষই খুবই ভীত-সন্তস্ত্র। তারা নিজের ঘরে ফিরতে চায় না। আদৌ যদি আমরা সেগুলোকে ঘর বলতে চাই। অনেকক্ষেত্রেই সেগুলো শুধু ধ্বংসাবশেষ মাত্র।”সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আল্লেপো অঞ্চলের শহর জিনদিরিসের ফটোসাংবাদিক খলিল আশাওয়ি সিএনএনকে বললেন, সেদেশে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলের ছবি তোলার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দাবি করতে পারেন যে সোমবারের ভূমিকম্পের পর যে ‘ধ্বংসযজ্ঞে’র তিনি সাক্ষী হয়েছেন, এমনটা গত এক দশকে দেখেননি।