সিরিয়ায় সেনাসদস্য ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ৮১

30

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষে অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের মারেত আল-নুমান শহরের কাছে ওই সংঘর্ষে ৩০ সেনাসদস্য ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ৫১ জন প্রাণ হারায়। শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এই তথ্য জানিয়েছে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরীয় গৃহযুদ্ধে জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৪ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দেশটির গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান সমর্থক রাশিয়া ও ইরান। আর সিরিয়া থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলে সেখানে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন থেকে চলা ওই লড়াইয়ে আসাদ বাহিনী দেশটির বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলেও বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্ত অবস্থান রয়েছে ইদলিব প্রদেশে। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইদলিবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে ৪২ জঙ্গি ও ৯ বিদ্রোহী নিহত হয়। আর মারেত আল নুমানে ৩০ সেনা প্রাণ হারায়। মানবাধিকার সংস্থাটির দাবি, সংঘর্ষের সময় মারেত আল-নুমানের আশপাশের আকাশে উড়ছিল রুশ যুদ্ধবিমান।
পাশের শহর সারাকিবে একাধিক হামলাও চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এই সংঘাতের ফলে ওই এলাকায় বাস্তুহারা হয়েছে বহু মানুষ। হামলার পর সপরিবারে পালানোর সময় ইয়াসের ইব্রাহিম আল-দান্দাল ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’কে জানিয়েছেন, ‘মারেত আল-নুমান শহরে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার দাবি, বিদ্রোহী ও তাদের সহযোগীদের এই অঞ্চল থেকে হটাতে গত এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে সরকারি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।